নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল আজহার আমেজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আবার গরুর মাংসের প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা দাম বেড়েছে। কিন্তু মুরগি ও মাছের দাম তুলনামূলক কমেছে। এতে মাছ-মুরগিতেই স্বস্তি খুঁজছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
আরও পড়ুন: পিকআপ উল্টে যুবক নিহত
এদিকে বিক্রেতারা বলছে, বর্তমানে বাজারে গরুর আমদানি কম থাকায় আমরা বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে, এর ফলে মাংসও কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে সব ধরনের মুরগির মাংসের দামে কমেছে এতে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। এ সময় ক্রেতাদের দাবি, ব্যবসায়ীরা চাইলেই সারাবছর এ দামেই মুরগির মাংস বিক্রি করতে পারেন। তবে যখনই চাহিদা বেড়ে যায়, তাদের দামও অটোমেটিক বেড়ে যায়।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সরেজমিনে গিয়ে এ সকল চিত্র দেখা যায়।
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহেও ছিলো ৭৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়াও খাসির মাংস প্রতি কেজি ১,০৫০-১,২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১,০০০ টাকায়। অপরদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে (১৭০-১৮০) টাকা। দেশি মুরগি (৭০০-৭৩০) টাকা, সাদা লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায় এবং সোনালী মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে (৩০০-৩২০) টাকায়।
আরও পড়ুন: বন্দরে মিলল বিদেশি সিগারেট
মাছের বাজারে দেখা যায়, অন্যান্য সকল পণ্যের তুলনায় মাছের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি। এ সময় বড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি (৬০০-৬৫০) টাকায়, যা গত সপ্তাহেও ৭০০ টাকা পর্যন্ত ছিল। শিং মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে (৪৫০-৫০০) টাকা। পাঙাশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, কার্প মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, মলা মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০, কই মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সপ্তাহ ব্যবধানে পাবদা মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। বিগত সপ্তাহে পাবদা মাছ ছিল (৩৫০-৪০০) টাকা, আজ বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতারা বলেন, বর্তমানে মানুষের ঘরে কোরবানির মাংস থাকায় ঈদের পর মুরগির চাহিদা কিছুটা কম ছিলো। এই কারণে আগের সপ্তাহের চেয়ে দামও কিছুটা কমেছে। কিন্তু বাজারে গরুর পরিমাণ কম থাকায় বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এর ফলে গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকার নিচে বিক্রি করা যাচ্ছে না। কিন্তু কেউ কেউ ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি করলেও অন্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুনের সাথে পুরাতন মাংস ও হাড়-চর্বি একটু বাড়িয়ে দিলে আমরাও ৭৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারব, তবে এতে করে মানুষকে ঠকানো হবে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি, কমেনি মরিচ
গরুর মাংস বিক্রেতা শান্ত ইসলাম জানান, এই ঈদের আগ মুহূর্তে কোরবানির জন্য প্রচুর গরু বিক্রি হয়েছে। যার কারণে ঈদের পরপর এখন খামারিরা গরু কমে ছাড়ছে না। এ সময় যেগুলোও বিক্রি হচ্ছে তার দাম তুলনামূলক একটু বেশি। এ জন্য মাংসের বাজারেও তার প্রভাবটা পড়েছে।
মুরগির মাংস বিক্রেতা মনসুর আলী জানান, কোরবানির পরে বাজারে মুরগির চাহিদা খুবই কম থাকে। যার কারণে বর্তমানে এর দামটাও তুলনামূলক কম। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা কোরবানি দিতে পারেননি, অনেকে ছুটি না পাওয়ার কারণে, অনেকে কাজের কারণে ঢাকায় ঈদ করেছে। এ সময় তাদের বাসায় মুরগির চাহিদা আছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধার
মনিরুল ইসলাম নামের ১ জন ক্রেতা বলেন, বাজারে গরুর মাংস কিনতে গিয়ে মুরগি নিয়েছি। এর আগের সপ্তাহেও দেখলাম গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি, আজকে তা ৮০০ টাকার নিচে দেবেই না তারা। এ সময় আমিও রাগ করে চলে এসে মুরগি নিয়েছি। কোরবানির পরে গরুর মাংসের দাম কম থাকার কথা, তবে বাজারে এসে দেখছি উল্টো।
সান নিউজ/এমএইচ