নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১০ হাজার মেট্রিকটন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সততা বিশ্বে প্রশংসনীয়
প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ১০১ টাকা ৯৪ পয়সা। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়। করোনা আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন। বৈঠকে শেষে বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।
আরও পড়ুন: বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র কাজে দেয়নি
মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ হাজার মেট্রিকটন মসুর ডাল স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ইজি জেনারেল ট্রেডিং, নাবিল নাবা ফুড প্রডাক্ট থেকে এ ডাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০১ টাকা ৯৪ পয়সা। আগের ক্রয়মূল্য ছিল ১০১ টাকা ৪০ পয়সা।
সচিব বলেন, ইজি জেনারেল ট্রেডিং থেকে ৬ হাজার মেট্রিকটন এবং নাবিল নাবা ফুড প্রডাক্ট থেকে ৪ হাজার মেট্রিকটন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সার কিনবে সরকার
এর আগে গত ৮ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২২ হাজার টন মসুর ডাল, এক কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়। মসুর ডাল ও রাইস ব্রান তেল উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এবং সয়াবিন তেল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে শেষে সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে নাবিল নাবা ফুডস প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৬ হাজার মেট্রিকটন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬১ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ২৪ পয়সা। যা আগে ছিল ১০৩ টাকা ৭৫ পয়সা। মসুর ডাল কেনার এ প্রস্তাব নিয়ে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ হাজার মেট্রিকটন মুসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
এতে মোট ব্যয় হবে ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবর জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ৬ হাজার মেট্রিকটন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে শনিবার
রাজশাহীর মেসার্স সালমান খুরশীদের কাছ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এবং খুলনার শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ৩ হাজার মেট্রিকটন মসুর ডাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। প্রতি কেজির ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ৪০ পয়সা।
তিনি বলেন, টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৫২ টাকা।
এছাড়া টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
এতে মোট ব্যয় হবে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের দাম পড়বে ১৪৮.৭৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৫২ টাকা।
সান নিউজ/এনজে