নিজস্ব প্রতিবেদক:
মোংলা (বাগেরহাট): করোনায় মোংলা বন্দরের এক কর্মচারীর মৃত্যু ও শীর্ষ কয়েকজন কর্মকতার্সহ অনেকে অসুস্থ হওয়ার পর ১১টি পদক্ষেপে সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্যে নিরাপত্তা, ট্রাফিক, হারবার, মেডিকেল এবং যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের কাজ ন্যূনতম এবং অন্য বিভাগের কাজ পালাক্রমে ২৫ শতাংশ লোকবল দিয়ে চালানো হচ্ছে। বন্দরের বিভিন্ন অফিস, জেটি ও আবাসিক এলাকায় প্রবেশে ডিজইনফেকটেন্ট টানেল আবশ্যিকভাবে ব্যবহার করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করছেন তারা।
বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. গিয়াস উদ্দিন গত বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ওই ১১ দফা সিদ্ধান্ত কার্যকরের আদেশ জারি করেন।
আদেশ অনুসারে বিভাগীয় প্রধানরাই ডিউটি রোস্টারের মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা ও প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে উত্থাপিত ও আহুত যেকোনো বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। পরিচালন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে গণপরিবহণের ব্যবহার পরিহারে প্রয়োজনে বন্দরের ডরমেটরি-রেস্টহাউস অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আবাসিক এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। আবাসিকের কর্মকতা-কর্মচারীরা বাসার বর্জ্য বাসভবনের নিচে স্থাপিত ড্রামে রাখছেন। ফলে সেগুলো নিতে কাউকে ভবনে উঠতে হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের ব্যবহৃত গাড়ি ও অফিসগুলো প্রতিনিয়ত স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনও সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ক্যাশ/নগদের বদলে ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত হচ্ছে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক আমির হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত রয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী, পরিচালক (প্রশাসন) গিয়াস উদ্দিন, হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন, সচিব ওহিউদ্দিন, প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল, সিভিল ও হাইড্রোলিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাবেয়া রউফ, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মাকরুজ্জামান মুন্সী ও তড়িৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী উম্মে কুলসুম।