নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজের প্রথম চালানটি বিক্রির জন্য চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাঠানো হয়েছে।
ভারত রপ্তানি বন্ধের পর বিকল্প দেশ হিসেবে মিয়ানমার থেকেই পেঁয়াজের প্রথম চালানটি দেশে এসে পৌঁছালো। মিয়ানমারে লকডাউনের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় আড়াই মাস ধরে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত থাকার মধ্যেই চালানটি এলো।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুটি ছোট ট্রলারে এই পেয়াঁজ টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে এসে পৌঁছায়। কাগজপত্র জমার পর আমদানি করা শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খালাস শেষে সেগুলো ট্রাকে করে পাঠানো হয় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
পেঁয়াজের চালান খালাস করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস সেভেন স্টার। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আরাফাতুর রহিম জানান, টেকনাফের ব্যবসায়ী মো. ওসমান গনি এই চালানটি আমদানি করেছেন। মিয়ানমারে লকডাউন থাকায় এখনো স্বাভাবিক সময়ের মতো পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না।
মিয়ানমারে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পর গত ০৩ জুলাই থেকে দেশটির সঙ্গে স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় বন্ধ ছিল। এর মধ্যে পেঁয়াজের চালানটি এলেও নতুন করে আরও চালান আসবে কি–না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
টেকনাফ স্থলবন্দরের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, মিয়ানমার থেকে শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দুটি ট্রলারে করে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। এই চালানটির মাধ্যমে আড়াই মাস পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলো।
সংকট মোকাবেলায় ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজের আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। এরপরই বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। এখনো পর্যন্ত মিয়ানমার ছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবছার উদ্দিন বলেন, এর আগে মিয়ানমার থেকে এ বন্দর দিয়ে গত বছরের নভেম্বরে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিকটন, অক্টোবরে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিকটন, সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিকটন এবং আগস্টে ৮৪ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।