নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেনাপোল (যশোর): ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় আটকে থাকা পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকের লোড এক্সপোর্ট (লিইও) করা না থাকায় বেনাপোল বন্দরে আসতে পারেনি।
নিষেধাজ্ঞায় আটকে পড়া পেঁয়াজের একটি অংশ ভারত সরকার ছেড়ে দেওয়ার সম্মতি দিলেও শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেনাপোলে কোনো ট্রাক প্রবেশ করেনি। কবে নাগাদ ঢুকবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
ওপারের বরাতে সাজেদুর রহমান বলেন, শনিবার ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে কোনো পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করেনি। কারণ, শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সিবিআইসি যে নির্দেশনা দিয়েছিল, শনিবার সকালে পেট্রাপোল কাস্টমসকে তারা আরও একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দর এলাকার যে সকল পেয়াজের ট্রাকের লোড এক্সপোর্ট (লিইও) করা ছিল, শুধুমাত্র সেই ট্রাকগুলো বাংলাদেশে যাবে।
১৪ সেপ্টেম্বর পেট্রাপোল বন্দরের ভেতরে পাঁচটি ট্রাক ছিল। এর মধ্যে একটি ট্রাকের লিইও করা ছিল। পেঁয়াজে পচন ধরায় বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রপ্তানিকারক সেটির লিইও বাতিল করে। এতে পেট্রাপোল বন্দরে লিইও করা কোনো পেঁয়াজের ট্রাক না থাকায় শনিবার বেনাপোল বন্দরে কোনো পেঁয়াজের ট্রাক ঢোকেনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আকসির মোল্লা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের সময় কাস্টম থেকে গেট পাস নিতে হয়। সকাল থেকে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের পক্ষ থেকে কোনো গেট পাস গ্রহণ না করায় শনিবারও পেঁয়াজের কোনো চালান আসেনি বেনাপোল বন্দরে। কবে আসবে তা নিশ্চিত করে জানানো হয়নি।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধে ভারতের আদেশ প্রত্যাহার করতে আহ্বান জানানোর পর আগের ঋণপত্রের (এলসি) পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানির নির্দেশনা দিয়ে শুক্রবার রাতে বন্দর ও কাস্টমসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস কর্তৃপক্ষ (সিবিআইসি)।
কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, কাস্টমস অ্যাক্ট প্রসিডর ৯ ও ১২বি ধারামতে বলা হয়েছে, ১৪সেপ্টেম্বর ভারতের সব শুল্ক কাস্টমসে নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, বাংলাদেশে ৭৫০ মার্কিন ডলারের নিচে পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না। বাংলাদেশের আমদানিকারকদের দাবি ও সরকারি তৎপরতায় মঙ্গলবার ভারতের রপ্তানিকারকরা পেঁয়াজ রপ্তানির আবেদন জানান। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় শুল্ক অধিদপ্তর। তবে শনিবার সকালে ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দর এলাকার যে সকল পেঁয়াজের ট্রাকের লোড এক্সপোর্ট (লিইও) করা ছিল শুধুমাত্র সেই ট্রাকগুলো বাংলাদেশে যাবে, এমন নির্দেশনা দেওয়ার পর এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
নতুন করে লিইও করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে নতুনভাবে লিইও করার পর সেটি কার্যকর হবে কি না, সেটা নিশ্চিত করতে পারেননি কার্তিক।