আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্য। জ্বালানির বৈশ্বিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এ অঞ্চলে চলমান সংঘাতের জেরে নিকট ভবিষ্যতে বিশ্ববাজারে অশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের
অয়েল প্রাইস ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাত যদি জ্বালানি তেলের সরবরাহকে সরাসরি ব্যাহত করে, তবে প্রতি ব্যারেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক সিটি গ্রুপের এক বিবৃতিতেও এমন আভাস পাওয়া গেছে।
বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের রফতানিকারকরা হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ ব্যারেল অশোধিত তেল পরিবহন করে, যা বৈশ্বিক ব্যবহারের এক পঞ্চমাংশ।
আরও পড়ুন: ভারতে ভোট গ্রহণ শুরু
লিপো অয়েল অ্যাসোসিয়েটস জানিয়েছে, হরমুজ প্রণালি দিয়ে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে প্রতি ব্যারেলের দাম উঠতে পারে ১৩০ ডলারে।
ইতিমধ্যে আইসিই ফিউচারস ইউরোপে অশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্ট ব্যারেল প্রতি ৯০ ডলার ২ সেন্টে লেনদেন হয়েছে।
অপরদিকে নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ছিল ৮৫ ডলার ৩৫ সেন্ট।
বহুজাতিক আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান সোসিয়েতে জেনেরালের হিসেবে, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়লে অশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেল প্রতি ১৪০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ব্রেন্টের মূল্য পূর্বাভাস ১০ ডলার বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরানে ইসরায়েলের হামলা
জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের অন্যতম বৃহৎ সদস্য দেশ ইরান। দেশটি প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেলের বেশি অশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোয় দেশটির উত্তোলন ও রফতানি দুটোই ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, অয়েল প্রাইস ডটকম তার সহযোগী বা অংশীদার সংস্থাদের সঙ্গে মিলিতভাবে সমগ্র পৃথিবী ব্যাপী অশোধিত তেল ব্যবহারকারিদের জন্য ১৫০ টি ক্রুড অয়েল ব্লেন্ড (অশোধিত তেল মিশ্রন) এবং সংশ্লিষ্ট সূচক, মূল্য তালিকা, তুলনামূলক তথ্য ও উপযোগী বিশ্লেষণাত্মক তথ্য প্রদান করে।
সান নিউজ/এনজে