নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের আমেজ শেষ হলেও বাজারে যেনো সবজির দাম কমছেই না। অন্যদিকে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম এখনও কমেনি।
আরও পড়ুন: শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পণ্যের সরবারহ ঠিক থাকলেও পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরায় এর প্রভাব পড়েছে। কিছুটা কেনাবেচা কম হলেও বাড়তি পণ্যের চাপ নেই।
রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ঈদ পরবর্তী সকল ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন বাজারগুলোতে সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৫০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা ও কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সোনার দামে নতুন রেকর্ড
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, শিম ৭০-৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০-৫০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০-৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০-১৫ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
এসব বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০-২৪০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩৩০-৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত অন্য সময়ে এই ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ৩০০-৩২০ টাকার মধ্যে থাকে।
রামপুরায় মুরগি বিক্রেতা আবদুল খালেক জানান, ঈদের পর ২২০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি। আজ শুক্রবার হওয়ার কারণে পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।
এদিকে, বাজারে প্রতি কেজি আলু ৫০-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও কেজি ৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। ঈদের ৪-৫ দিন আগে আলুর কেজি ছিল ৪৫ টাকার আশপাশে। সেই হিসেবে ২ সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকার বেশি।
অন্যদিকে, ঈদের আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি নেমেছিল ৫০ টাকার ঘরে। কেজি কেনা গেছে ৫০-৫২ টাকার মধ্যে। ঈদের পর চড়া হতে থাকে দাম। কয়েক দফায় বেড়ে কেজি প্রতি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।
আরও পড়ুন: দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের
শুক্রবার বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা ও ৭০০-৮০০ গ্রামের মাছ ১৪০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০-৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০-১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০-৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০-২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০-১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০-৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০-৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৬০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০-১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০-১০০০টাকা।
গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সয়াবিন তেলের নতুন দাম ঘোষণা করেন। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। খোলা সয়াবিনের লিটারে কমানো হয়েছে ২ টাকা। এ ছাড়া ৫ লিটারের বোতলে দর বেড়েছে ১৮ টাকা।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৬৭, পাঁচ লিটারের দর হবে ৮১৮ ও খোলা সয়াবিনের লিটার হবে ১৪৭ টাকা। অন্যদিকে, সুপার পামওয়েলের লিটার ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সুপার পামওয়েল বাজারে এর চেয়ে বেশি অর্থাৎ লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা দরে।
সান নিউজ/এএ