নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, আজ রাতেই ভারত থেকে আসা পেঁয়াজের ট্রেন পৌঁছে যাবে দেশে পৌঁছাবে। এক দিনের মধ্যেই আমরা এটা ডিলারদের মধ্যে সরবরাহ করব। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে টিসিবির মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: মাংসের বাজারে মিলছে না স্বস্তি
রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্স সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য, সেহেতু প্রথম ট্রেনে ১৬৫০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমাদের এখানে আসবে। এছাড়া বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে চিনি আছে। আমাদের যারা উৎপাদক রয়েছে, তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
এ সময় বাজার ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ইমপ্রুভমেন্ট হচ্ছে। আপনাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আমরা সামনে ঈদুল ফিতর ও পরবর্তীতে বাজার ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ এবং উন্নত করতে পারব।
আরও পড়ুন: আলুর দাম বাড়ার আশঙ্কা
চাল ও ভোজ্য তেল প্রসঙ্গে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, গত ১ বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম ২৫ শতাংশ বাড়লেও আমাদের স্থানীয় বাজারে ২-৪ শতাংশের বেশি দাম বাড়েনি। গত মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পামওয়েলের দাম ১১-১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামবৃদ্ধি পেলেও আমাদের আমদানিকারক ও মিল মালিকদের সহযোগিতায় ১৬৩ টাকায় ১ লিটার এবং ১৪৯ টাকা খোলা বাজারে তেল বিক্রি করতে সমর্থ হয়েছি। সব জিনিসের দাম কমে গেছে। আপনারা যদি দেখেন সয়াবিন তেলের (লুজ) দাম প্রায় ৩.৮১ শতাংশ প্রথম থেকে ১৮তম রমজানে এ কম্পিরিজনেই দাম দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে রাইডারদের জন্য ফুডপ্যান্ডার বিশেষ ক্যাম্পেইন
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, আন্তর্জাতিক বাজারের যে অবস্থাই হোক, আমাদের আগামী ২-৩ মাস অর্থাৎ কোরবানির ঈদ পর্যন্ত আমাদের পণ্যের সরবরাহ বিশেষ করে ভোজ্য তেল যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি করা হয়েছে বা সাপ্লাই চেইনে আছে।
এছাড়া চিনি নিয়েও আমাদের কোনো সমস্যা নেই। চিনি নিয়ে সব মিল মালিক ও পাইকারি বিক্রেতারা আশ্বস্ত করেছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়েও সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন: একনেকে ১১ প্রকল্পের অনুমোদন
পাশাপাশি বাজারে কৃষি উৎপাদিত পণ্যের বাজার দরও অনেকটা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে এসেছে। কিছু পণ্যের যৌক্তিক যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, তার থেকেও কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। রমজানে এটা অনেকের জন্য সাশ্রয়ী।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারকে আমরা যে চাল, চিনি, তেল, ডাল ও ছোলা দেয়া হচ্ছে, এতে উপজেলা শহরগুলোতে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং এর একটা সুফল বাজার পাচ্ছে।
সেই সাথে বাজারে নতুন সবজি ওঠায় সবজির বাজারে স্বস্তি লক্ষ্য করছি। যদিও শহরের দুয়েকটা জায়গায় একটু-আধটু সমস্যা খুঁজে পান।
সান নিউজ/এনজে