সান নিউজ ডেস্ক : চাঁদে অভিযান পরিচালনা করার জন্য প্রস্তুত করা আর্টেমিস-২ মিশনে আগামী বছরে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি জমাবেন প্রথম নারী ক্রিস্টিনা হ্যামক কোচ। তার সাথে থাকবেন একজন কৃষ্ণাঙ্গ এবং একজন কানাডীয় নভোচারীসহ ৪ জন।
আরও পড়ুন : জেলেনস্কিকে হুমকি দিলেন কৃষকরা
সোমবার (৩ মার্চ) টেক্সাসের হিউস্টোনে এক অনুষ্ঠানে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আর্টেমিস-২ মিশনের ক্রু হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে।
ক্রিস্টিনা হ্যামক কোচ ছাড়া বাকি ৩ মহাকাশচারী হলেন-ভিক্টর গ্লোভার, জেরেমি হেনসেন এবং রেইড ওয়াইজম্যান।
আরও পড়ুন : নাটোরে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
তাদের মধ্যে রেইড ওয়াইজম্যান হলেন মিশন কমান্ডার। ভিক্টর গ্লোভার পাইলটের দায়িত্ব পালন করবেন এবং ক্রিস্টিনা হ্যামক কোচ ও জেরেমি হেনসেন যাচ্ছেন মিশন স্পেশালিস্ট হিসাবে।
বহুজাতিক আর্টেমিস মিশনের উদ্দেশ্য চাঁদের দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতি হলেও, আর্টেমিস-২ এ গমন করা এই ৪ নভোচারী চাঁদের বুকে পা রাখবেন না।
আরও পড়ুন : আগুন জ্বললেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
জনসন স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর ভ্যানেসা উইচ জানান, ৫০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো এ ব্যক্তিরা চাঁদের আশপাশে উড়ে যাওয়া প্রথম মানুষ হতে যাচ্ছেন। এ মিশনটি মানুষের গভীর মহাকাশ অনুসন্ধানের পথ প্রশস্ত করবে এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, বাণিজ্যিক ও একাডেমিক অংশীদারত্বের জন্য মহাকাশে নতুন সুযোগ উপস্থাপন করবে।
তিনি এই ৪ নভোচারীকে মানবজাতির সেরা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে ফিরতে চায় নাসা। এবার সেখানে ঘুরে আসতে নয়, স্থায়ীভাবে থাকতে চায় তারা। তার লক্ষ্যেই গত বছর আর্টেমিস-১ মনুষ্যবিহীন মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করে নাসা।
আরও পড়ুন : ক্ষতিগ্রস্তদের কান্না সহ্য করা যায় না
২০২৪ সালে আর্টেমিস-২ মিশনও যদি সফল হয় তাহলে ২০২৫ সালে আর্টেমিস-৩ এ প্রথমবারের মতো এই মিশনে চাঁদের বুকে পা রাখবেন একজন নারী নভোচারী। এর আগে অ্যাপোলো মিশনগুলোতে কোনো নারীকে পাঠানো হয়নি।
এর আগের গ্রিক চন্দ্রদেবতা অ্যাপোলোর নামানুসারে চন্দ্রাভিযানের নামকরণ করা হয়েছিল। এবার চাঁদে প্রথম নারীর পদচিহ্ন পড়তে যাচ্ছে। তাই অ্যাপোলোরই যমজ বোন আর্টেমিসের নামে এ মিশনের নামকরণ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে