ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
অন্য বেশ কয়েকজনের মতো তার নামও রওনা দিয়েছে মঙ্গল অভিমুখে। সশরীরে যেতে পারেন না পারেন, ওই গ্রহে জমিও কিনে ফেলেছেন তিনি। এবার চন্দ্রযানের শৌচালয়ের সম্ভাব্য নকশা বানালেন ভারতীয় যুবক শৌনক দাস। ‘লুনার লু চ্যালেঞ্জ’-এ সেই নকশা যদি গৃহীত হয়, তাহলে নাসার ওয়েবসাইটে তার নাম তো উঠবেই। সেই সঙ্গেই পাওয়া যাবে ভারতীয় মুদ্রায় ২৮ লাখ রুপি।
নকশা গৃহীত হবে কি না, বলবে ভবিষ্যৎই। কেননা এ এক বিশ্বজোড়া প্রতিযোগিতা। চন্দ্রযানে শৌচালয়! বিষয়টি বিষম চিন্তারও। ২০২৪ সালে চন্দ্রযানে চাঁদে মানুষ পাঠানোই নাসার লক্ষ্য। এবং পরের ধাপেই মঙ্গল। এসব ক্ষেত্রে যানের ওজন যতো কম হয়, ততোই ভালো। বিজ্ঞানী-গবেষকেরা তো আছেনই। সারা বিশ্বের উর্বর মস্তিষ্কের যেসব মানুষ রয়েছেন, তাদের কাছ থেকেও নকশা চেয়ে পাঠিয়েছে নাসা।
কেমন হবে সেই শৌচালয়?
বিশ্ব জুড়ে কয়েক কোটি মানুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চন্দ্রযানের শৌচালয়ের নকশা বানিয়ে চলেছেন। চাঁদেও নিজে যেতে পারেন না পারেন, শৌনক চান, তার তৈরি নকশায় গড়া শৌচালয় ঠাঁই পাক চন্দ্রযানে। নকশা পাঠিয়েছেন ঠিকই।
কিন্তু নকশা করে দেবো বললেই তো হয় না! এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে নাসা। জানিয়েছে, নকশা তৈরির সময় বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন,
১) চন্দ্রযানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকবে না। ফলে পা মাটিতে অর্থাৎ সেই যানের মেঝেতে না-ও পড়তে পারে।
২) এই ধরনের অভিযানে বায়ুর যে চাপ থাকে, তাতে নিম্নচাপের আধিক্য দেখা যায়। সেজন্য ঘন ঘন শৌচালয়ে যেতে হতে পারে। তা মাথায় রাখতে হবে। তাছাড়া থাকবেন নারী চন্দ্রাভিযাত্রীরাও। শৌচালয়ের নকশা বানাতে হবে তাদের ঋতুকালের বিষয়টি মাথায় রেখেই। অভিযানে ঘন ঘন বমি হতে পারে। ভাবতে হবে সেটাও।
‘শৌচালয়ের বর্জ্য কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, সবচেয়ে বড় সমস্যা সেটাই। বেশি বর্জ্য জমতে দিলে মুশকিল। আকাশে তো সেগুলো ফেলা যাবে না’- বলছেন শৌনক।
বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত শৌনক মঙ্গলে এক একর জমিও কিনেছেন। ‘নাসাই একটি সংস্থাকে দিয়ে বিক্রি করছিল। দেখলাম, সস্তায় পাচ্ছি। এক একর জমির দাম মাত্র ত্রিশ ডলারে! কিনে নিলাম’- বললেন শৌনক।
জমির দলিল, মঙ্গলের ঠিক কোথায় তার জমি, অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ মেপে সেই জায়গাটাও নির্দিষ্ট করে তার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে নাসা।
শৌনক বলেন, ‘নিজে তো যেতে পারবো না। তবু বলতে পারবো, মঙ্গলে এক একর জমি আছে আমার।’
সান নিউজ/ বিএম/ এআর