সান নিউজ ডেস্ক : সূর্য নিয়ে অদ্ভুত দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের একটি বড় অংশ টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সূর্য ভাঙার এই ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন : বিশ্বকে বদলে দেবে
এই দাবির পর হতবাক গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এখন এটি সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে এবং একটি পরিষ্কার ছবি সামনে আনার জন্য ঘটনাটি বিশ্লেষণ করছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে একটি অংশ ভেঙে যেতে দেখা গেছে, যার কারণে একটি বিশাল টর্নেডো তৈরি হয়েছে এবং সেখানে একটি ঘূর্ণি আকার তৈরি হতে দেখা গেছে। বিজ্ঞানীরা সৌর অগ্নিশিখার ঘটনা সম্পর্কে ভালই জানেন, তবে এবারের ঘটনা তাদের উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে। পৃথিবী ও তার সহোদর ৭টি গ্রহ যে নক্ষত্রটিকে ঘিরে আবর্তন করছে, সেই সূর্য নিয়ে মহাকাশবিজ্ঞানীদের উৎসাহের শেষ নেই।
মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে কয়েক বছর আগে এই টেলিস্কোপটি উৎক্ষেপণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনেটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(নাসা)। নাসার কর্মকর্তা ও স্পেস ওয়েদার ফোরকাস্টার ড. তামিথা সকোভ নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে সূর্যের সেই ছবিটি শেয়ার করেছেন।
ছবিটির ক্যাপশনে তামিথা স্কোভ বলেন, ‘সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে সরে যাওয়া অংশটি নক্ষত্রের উত্তর মেরুতে বিশাল এক ঝড়ের সৃষ্টি করেছে।’
আরও পড়ুন : ফের কর্মী ছাঁটাই করছে ইয়াহু
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে তার কোনো অংশ ভেঙে পড়া বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। গত ৬-৭ দশকে কয়েক বার এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে নাসা। তবে সূর্যের কোনো অংশ ভেঙে পড়ে বাতাসে ভেসে নক্ষত্রটির প্রান্তে ঝড়ের সৃষ্টি করার ঘটনা নাসার ইতিহাসে এই প্রথম। এই ব্যাপারটিই অবাক করেছে মার্কিন মহাকাশবিজ্ঞানীদের।
সৌরমণ্ডলের প্রাণকেন্দ্র সূর্যের পুরোটাই আসলে গ্যাসীয় তরল। পৃথক এক টুইটবার্তায় ড. তামিথা স্কোভ বলেন, সূর্যের যে অংশটি বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তরপ্রান্তে সরে এসেছে, সেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৮ ঘণ্টার মধ্যে। এ সময় সূর্যপৃষ্টের ওই অংশে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৬ হাজার মাইল।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এ সম্পর্কিত আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তারা।
আরও পড়ুন : ৯৩ বছর বয়সে বিয়ে করলেন
সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব আনুমানিক ১৪ কোটি ৯৬ লাখ। তবে পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যের কিছু বিস্ময়কর সম্পর্ক রয়েছে। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, কয়েক বছর আগে সূর্যে বড় এক সৌরঝড় হয়েছিল। সেই ঝড়ের প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পৃথিবীর মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সান নিউজ/এসআই