সান নিউজ ডেস্ক: যে কোন ধরনের প্রতারণা রোধে বাংলাদেশ পুলিশ সদা সক্রিয়। এ লক্ষ্যে, সন্দেহভাজন প্রতারকদের চিহ্নিত করতে এবং সংগঠিত প্রতারণার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতারকদের আইনের আওতায় আনতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিট। তবে, শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে এ ধরনের অপরাধ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা খুব সহজ নয়। এক্ষেত্রে, সামাজিক সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই, আসুন এ ধরণের প্রতারণা এড়াতে কিছু সাধারণ পরামর্শ মেনে চলি।
মোবাইল ব্যাংকিং ও এটিএম কার্ড প্রতারণার ক্ষেত্রে প্রতারক ব্যক্তি নিজেকে বিকাশ, ইউক্যাশ, রকেট, নগদ বা অন্য যেকোন মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের অথবা আপনার ব্যবহৃত এটিএম কার্ড (ডেবিট/ক্রেডিট) সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হেড অফিস, কোম্পানী অফিস বা আইটি শাখার কর্মকর্তা/কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিতে পারে। প্রতারক ব্যক্তিটি আপনার সাথে অত্যন্ত শুদ্ধ ভাষায় এবং মার্জিতভাবে কথা বলার চেষ্টা করবে। সিস্টেম মেইনটেনেন্স, তথ্য হালনাগাদ, কাস্টমার ভেরিফিকেশন বা অন্য কোন বিশেষ/জরুরী কারণ দেখিয়ে প্রতারক আপনার বিকাশ, ইউক্যাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদির একাউন্টের বা এটিএম কার্ডের (ডেবিট/ক্রেডিট) গোপন পিন নম্বরটি জানতে চাইবে। পিন নম্বরটি তাকে না জানালে আপনার একাউন্টটি বন্ধ/স্থগিত করে দেয়া হবে মর্মে ভয় দেখাবে।
ফ্যাক্টঃ কোন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের কোন ব্যক্তি (কর্মকর্তা/কর্মচারী) কখনোই আপনার কোন একাউন্টের গোপন পিন নম্বর বা পাসওয়ার্ড জানতে চাইবেন না, এমনকি কেউ সেটি জানতে চাইতে পারেন না।
পরামর্শঃ এ ধরণের কলে বিচলিত না হয়ে কলটি কেটে দিন এবং পরবর্তীতে ঐ নম্বর থেকে আবার কল আসলে কল রিসিভ করা থেকে বিরত থাকুন।
প্রতারণার শিকার হলে বিলম্ব না করে নিকটস্থ পুলিশকে অবগত করুন।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পুলিশের ‘সচেতন নাগরিক’ ফেসবুক পেজ
সান নিউজ/এনএএম