প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে বায়ু দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি দিনকে দিন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকায় বায়ু দূষণ না থাকলে মানুষ প্রায় সাত বছর সাত মাস বেশি বাঁচতে পারতো। ফুসফুসের জটিল রোগসহ বিভিন্ন মারাত্মক ব্যাধির জন্য দায়ী দূষিত বাতাস। মূলত ইটভাটা ও জ্বালানী তেলকে দেশের বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দূষণ কমাতে সরকার ইটভাটা বন্ধ সহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও তেমন কোন আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি।
বিগত বছর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বায়ুমান যাচাইয়ের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজ্যুয়ালের বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী, গত বছর ২১ নভেম্বর ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল ৩১৫। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বড় শহরগুলো কয়েক বছর ধরে দূষিত নগরীর তালিকায় উপরের দিকে অবস্থান করছিলো, সেখানে বিশ্বের অনেক বড় শহরগুলো থেকেও ঢাকায় দূষণের মাত্রা ছিল দ্বিগুণ। ঢাকার বাতাসে অতিরিক্ত পরিমাণে সুক্ষ ধূলিকণার উপস্থিতিকে এখানকার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পানির অপর নাম জীবন, এ কথা আমাদের সকলের জানা। এই পানি পান না করেও মানুষ প্রায় তিন দিন বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু বাতাস ছাড়া তিন মিনিটের বেশি মানুষ বাঁচতে পারে না। সেই বাতাসই যখন দূষণের শিকার তখন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অতিসত্বর জরুরি। তবে, ঘরের বাইরের বায়ু দূষণ নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও ঘরের ভেতরের বায়ু দূষণ নিয়ে কয়েক বছর আগেও তেমন কারো মাথাব্যাথা ছিল না। মানুষের মাঝে এ ব্যাপারে সচেতনতা কম ছিল। এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, রাজধানী ঢাকায় ঘরে-বাইরে উভয় জায়গায় বাতাসের দূষণ প্রায় সমান। বিশেষ করে, শীতকালে ঘরে ধুলাময়লা যাতে কম প্রবেশ করে এজন্য মানুষ সাধারণত দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখে।
অথচ, ঘরের বাইরের বাতাসের মান ঘরের ভেতরের চেয়ে ভালো এমনও দেখা গেছে। এর মূল কারণ, অনেক সময় ঘরের ভেতরের বেশি মানুষের শ্বাসক্রিয়ায় নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড সহ বিভিন্ন গ্যাস বাতাস দূষিত করে ফেলে। আর করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকে মানুষ বেশিরভাগ সময় ঘরের ভেতর অবস্থান করছে। ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ হতে পারে অ্যালার্জি, হাঁপানি, রাইনাইটিস, ডিসোনিয়া, জটিল ফুসফুসের রোগসহ নানা রকম ব্যাধির কারণ। তাই, বাইরের বায়ুদূষণের পাশাপাশি ঘরের ভেতরের বায়ু যাতে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে না পারে সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অনেক সমস্যার সহজ সমাধান এনে দিয়েছে হাতের নাগালে। ঘরের ভেতরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে এখন বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন পরিসরের এয়ার পিউরিফায়ার। এসব এয়ার পিউরিফায়ার ঘরের ভেতরের বাতাস জীবাণুমুক্ত রেখে দূষণমুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে সাহায্য করে। বাজারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার পিউরিফায়ারের মধ্যে দক্ষিণ কোরীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের এয়ার পিউরিফায়ারগুলো গুণেমানে অনন্য। এর ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে ঘরের ভেতরের বাতাসের মান সম্পর্কে সহজেই জানা যায়।
ঘরের বাতাসে থাকা অতি ক্ষুদ্র কণা, ক্ষতিকর গ্যাস ও জীবাণু শোধনের জন্য এতে রয়েছে চার ধাপের শোধন প্রক্রিয়া। ৯৯.৯ শতাংশ শোধনে সক্ষম এই এয়ার পিউরিফায়ারগুলো। এর থ্রি-ওয়ে এয়ার ফ্লো প্রযুক্তি মুহূর্তের মধ্যে জীবাণুমুক্ত বিশুদ্ধ বাতাস নিশ্চিত করে। এছাড়া, এই এয়ার পিউরিফায়ারগুলো উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সেন্সর সহজেই পিএম ২.৫ মাইক্রোমিটারের মতো অতি ক্ষুদ্র জীবাণু শনাক্ত করতে সক্ষম। ঘরের ভেতরের অ্যামোনিয়ার মতো দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস দূর করতেও কাজ করে এই এয়ার পিউরিফায়ারগুলোর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এর অ্যাক্টিভেটেড চারকোল নিমিষেই দূর করে দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস।
যেকোন প্রযুক্তি পণ্য কেনার ক্ষেত্রে টেকসই ও গুণমান সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। নিজের ও পরিবারের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বাজারের সেরা এয়ার পিউরিফায়ার কেনাই শ্রেয়। ২৫,৯০০ থেকে শুরু করে ৪৭,৯০০ টাকা পর্যন্ত মূল্য পরিসরে স্যামসাংয়ের তিন ধরনের এয়ার পিউরিফায়ার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতারা এয়ার পিউরিফায়ার কিনলে ছয় মাসের কিস্তি সুবিধা ছাড়াও বিনামূল্যে ডেলিভারি ও ইনস্টলেশন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
স্যামসাং
টেলিভিশন ও রেফ্রিজারেটরের ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে এক নম্বর ব্র্যান্ড স্যামসাং ইলেক্ট্রনিকস। রূপান্তরমূলক ধারণা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বিশ্বব্যাপী অনুপ্রেরণামূলক এবং অগ্রগতির কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি টিভি, স্মার্টফোন, ওয়্যারেবল ডিভাইস, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, ডিজিটাল অ্যাপ্লায়েন্স, মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, নেটওয়ার্ক সিস্টেম, সেমিকন্ডাক্টর এবং এলইডি সল্যুশনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।
সান নিউজ/এনএএম