আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তথ্য বিক্রিসহ নানান কেলেঙ্কারির পর নাম পাল্টানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ফেসবুক। চলতি মাসেই এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
জানা যায়, মেটাভার্স পরিকল্পনার প্রতিফলন হয় এমন নাম বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে শীর্ষ সামাজিক মাধ্যমটি।
ভার্জ জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর ফেসবুকের বার্ষিক “কানেক্ট” সম্মেলনে নতুন নাম ঘোষণার পরিকল্পনা করেছেন প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। তবে আরও আগেই ঘোষণা চলে আসতে পারে।
অন্যদিকে ভার্জের প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে ফেসবুক বলেছে, গুজব বা জল্পনা-কল্পনা নিয়ে মন্তব্য করে না ফেসবুক।
সম্ভাব্য নাম পরিবর্তনের খবর এমন সময়ে এলো যখন ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে নানা দিক থেকে মার্কিন সরকারের ব্যাপক চাপের মুখে আছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে জোট বেঁধে অনুসন্ধানে নেমেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা, যা অনেক হিসেবেই বিরল ঘটনা।
ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, নাম পাল্টে “রিব্র্যান্ডিং”-এর ঘটনা ঘটলে নতুন নামের মূল প্রতিষ্ঠানের অধিনস্থ সেবায় পরিণত হবে ফেইসবুকের সোশাল মিডিয়া অ্যাপ। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং অকুলাসের মতো আরেকটি সেবায় পরিণত হবে ফেসবুকের সামাজিক মাধ্যম নির্ভর ব্যবসা; নতুন নামের মূল প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকবে এর সবগুলো।
ব্যবসা প্রসারণ কৌশলের অংশ হিসেবে নাম পাল্টে নতুন ব্র্যান্ডিং করা সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন কিছু নয়। ২০১৫ সালে ‘অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেড’ নামের হোল্ডিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলো গুগল। সার্চ আর বিজ্ঞাপন ব্যবসা বাদেও গুগলের স্বচালিত যান প্রকল্প, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি এবং দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা প্রচলন প্রকল্পগুলোর দেখভাল ও নিয়ন্ত্রণ করে এখন অ্যালফাবেট।
ফেসবুক নিজেদের “একটি মেটাভার্স প্রতিষ্ঠান” হিসেবে পাল্টে ফেলতে চাইছে-- জানিয়েছে ভার্জ।
মেটাভার্স হচ্ছে এমন একটি ভার্চুয়াল জগৎ, যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ডিভাইস থেকে যোগ দিতে পারবেন এবং ওই ভার্চুয়াল পরিবেশে একে অন্যের সঙ্গে আলাপচারিতা বা আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসার সুযোগ পাবেন। অংশগ্রহণকারীরা সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রযুক্তির জোরে মনে হবে যেন সবাই সামনাসামনি বসেই আলাপ চালাচ্ছেন।
জুলাই মাসে ভার্জকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ বলেছিলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে “আমরা কার্যত এমন একটি পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাবো যাতে মানুষ আমাদের সোশাল মিডিয়া কোম্পানির বদলে মেটাভার্স কোম্পানি হিসেবে দেখে।”
সান নিউজ/এফএআর