আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডিজিটাল দুনিয়ার সঙ্গে মিশেল ঘটিয়ে মানুষকে তার বাস্তবের কাছাকাছি নিয়ে যেতেই কাজ করবে মেটাভার্স। মেটাভার্স প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দশ হাজার লোককে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ অক্টোবর) এমন ঘোষণাও দিয়েছে তারা।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য চাকরির এই সুবর্ণ সুযোগ পাবেন ইইউভূক্ত দেশগুলোর নাগরিকরা, বিশেষ করে যারা ‘উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন প্রকৌশলী’।
কয়েক বছর ধরেই এমন রিয়েলিটির দিকে এগোতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ শুরু হয়েছে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ মনে করেন, নতুন এ প্রযুক্তি ইন্টারনেট দুনিয়ায় বিপ্লব বয়ে আনবে। তাই তো এমন প্রযুক্তি তৈরির কাজও শুরু করেছেন তিনি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আপনি অফিস কিংবা ঘরে বসে আছেন, কিন্তু চাইলেই কল্পনায় চলে যেতে পারেন কোনো সমুদ্রে সৈকতে কিংবা অন্য কোথাও। মানুষের এই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ লগ্নি আর প্রচেষ্টা চলছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বড় ভোক্তা বাজার, শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেধাবীরা রয়েছেন। সেকারণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, এতো বড় প্রকল্প রাতারাতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, এমনকি একার পক্ষেও নয়। মেটাভার্স প্রযুক্তি বাস্তবায়নে ১০ থেকে ১৫ বছর সময়ও লেগে যেতে পারে।
সমালোচকরা বলছেন, এই ঘোষণা মূলত কোম্পানির খ্যাতি ফিরিয়ে আনার জন্য এবং ধারাবাহিকভাবে ফেসবুকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা থেকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য।
১৯৯২ সালে নিল স্টিফেনসনের ‘স্নো ক্র্যাশ’ উপন্যাসের চরিত্ররা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট ব্যবহার করে ডিজিটাল বিশ্বে বসবাসের গল্প হয়ে ওঠেন। সিলিকন ভ্যালির প্রকৌশলীদের কাছে এ উপন্যাস দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। বলা হচ্ছে, ওই উপন্যাসের প্রভাবেই তৈরি হচ্ছে মেটাভার্স। বিভিন্ন কোম্পানি বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে এ প্রযুক্তিতে।
মার্ক জুকারবার্গ এর আগে জানান, তার কোম্পানি মেটাভার্সের নিজস্ব ভার্সন তৈরি করবে। তার জন্য কোম্পানির মধ্যে একটি বিশেষ টিম তৈরি করেন তিনি। টেক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জে দেয়া সাক্ষাৎকারে জুকারবার্গ বলেন, ‘এটা প্রযুক্তি দুনিয়ার পরবর্তী বড় অধ্যায় হতে চলেছে। আগামী পাঁচ বছরে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি থেকে মেটাভার্স কোম্পানিতে পরিণত হবে ফেসবুক।’
সান নিউজ/এনকে