নিজস্ব প্রতিবেদক: ফোনে আড়ি পাতা বন্ধের নিশ্চয়তা ও ফাঁস হওয়া ঘটনাগুলোর তদন্ত চেয়ে করা রিট খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে গত ১০ আগস্ট রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রিটকারী ১০ আইনজীবী হলেন- মুস্তাফিজুর রহমান, রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বণিক, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, জি এম মুজাহিদুর রহমান মুন্না, শাহ নাবিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দিকী, ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।
এতে বিবাদী করা হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে।
গত ২২ জুন এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছিলো। কোনো জবাব না পাওয়ায় রিটটি করা হয়।
আড়ি পাতার ঘটনা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে বহুল প্রচারিত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অথচ আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী, পৃথিবীর সব আধুনিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। এমনকি বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। এ অধিকার সংবিধানের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সান নিউজ/এফএইচপি