নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কারিগরি সহায়তায় "মাইগভ র্যাপিড ডিজিটাইজেশন" পদ্ধতি এর আওতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩০৩ টি ডিজিটাইজেশন সেবার উদ্বোধন করা হয়।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের কবি বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবা সমূহের উদ্বোধন করেন।
এইসময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর তত্ত্বাবধানে বিগত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। আর তাই এই করোনা মহামারীর সময়ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও করোনাকালীন ১৯ মাসে দেশের শিক্ষা,স্বাস্থ্য,কৃষি,ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রশাসনিক, বিচারক ব্যবস্থাসহ সবকিছু সচল ছিল।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৬ সালে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ই-নথি ব্যবস্থা প্রবর্তন করায় ২ কোটির অধিক ইলেকট্রনিক্স ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনাকালীন বিভিন্ন অফিস সমূহের লক্ষাধিক কর্মকর্তা ইলেকট্রনিক ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করেছে। এর মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা সাশ্রয়,সময় ও যাতায়াতের হয়রানি থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং লকডাউনে কোনও প্রশাসনিক কাজ বন্ধ ছিল না বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, মাইগভ র্যাপিড ডিজিটাইজেশন প্ল্যাটফর্মের আওতায় ইতোমধ্যে যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে, তার মধ্যে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ সংখ্যক সেবার (৩০৩টি) ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্র ও কর্মপরিধি কত ব্যাপক।
তিনি আরও বলেন,মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ১৭টি দপ্তর-সংস্থার মধ্যে ১০টি দপ্তর-সংস্থার ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৭টি সংস্থার র্যাপিড ডিজিটাইজেশন সম্পূর্ণ হলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাইজেশনকৃত সেবার সংখ্যা আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম ও এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মো.হুমায়ুন কবির।
সাননিউজ/ জেআই