নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও সফটওয়্যার সল্যুউশন কোম্পানি ইজেনারেশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল জাভা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ইজেনারেশন প্রেজেন্টস-জাভা ডেভেলপারস কনফারেন্স’ শীর্ষক এই সম্মেলন সহ-আয়োজক হিসেবে ছিলো স্টার্টআপ হাব নেপাল, উইমেন ইন টেক এশিয়া এবং নাইজেরিয়া ফিডস দ্য ওয়াল্ড ইনিশিয়েটিভ।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এই সম্মেলনের অংশীদারিত্বে ছিলো সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ ও জাভা ইউজার গ্রুপ বাংলাদেশ। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশি-বিদেশি জাভা বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তি পেশাজীবীদের মেলবন্ধন ঘটে এই সম্মেলনে।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচ জনপ্রিয় ল্যাঙ্গুয়েজের তালিকায় বহুবছর ধরেই স্থান পেয়েছে জাভা। বর্তমানে ফরচুন ৫০০ কোম্পানির ৯০ শতাংশেরও অধিক কোম্পানিতে জাভা ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮০ লাখ জাভা প্রোগ্রামার রয়েছে, যে সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জাভা প্রযুক্তির চাহিদা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। জাভার বিস্তৃত খাতে ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তার জন্য বর্তমান জাভা পেশাজীবী ও এই পেশায় আগ্রহীদের বিশ্বব্যাপী জাভা কমিউনিটির সাথে এবং চাকরিদাতাদের সাথে সংযোগ ঘটানোর লক্ষে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
ইজেনারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান বলেন, জনগোষ্ঠীর অধিকাংশেরই বয়স ৩০ বছরের নিচে এবং তরুণদের মধ্যে প্রযুক্তি গ্রহণের উচ্চহার থাকা স্বত্বেও বাংলাদেশের মতো দেশে প্রযু্ক্তি খাতে মেধাবী জনবলের অভাব দেখা দেয়া উচিত না। সরকারের উদ্যোগ, যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং বেসরকারি খাতের সহায়তায় আমরা এইসব মেধাবীদের মানোন্নয়নে কাজ করতে পারি এবং জাভার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিজয়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। একইসাথে বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী হাই-টেক জাতি হিসেবে রূপান্তর করতে পারি।
সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, বিচিত্রতা, উপযোগিতা এবং শক্তিশালী কার্যকারীতার জন্য জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে জাভা। জাভা জানলে ডেভেলপারদের সামনে বহু পথ খোলা থাকে। এয়ারবিএনবি, উবার, নেটফ্লিক্সসহ বহু প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ধারাবাহিকভাবে আগামী বছরগুলোতেও জাভা শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি হিসেবে জায়গা দখল করে রাখবে।
জাভা ইউজার গ্রুপ বাংলাদেশ (জেইউজিবিডি) এর প্রতিষ্ঠাতা এ এন এম বজলুর রহমান বলেন, মাঝে মাঝে ডেভেলপাররা শুধুমাত্র জ্ঞানের দিকে নজর দেয়। জ্ঞান অর্জন গুরুত্বপূর্ণ, তবে দক্ষতা আরও বেশি জরুরি। যদি কেউ জাভাতে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে তাদেরকে এ বিষয়ে গভীর জ্ঞান এবং দক্ষতার প্রয়োজন হবে। সামগ্রিকভাবে ডেভেলপারদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে যারা জাভাতে ক্যারিয়ার গড়তে চান তারা যেনো দক্ষতা বাড়ান এবং শক্ত ভিত্তি তৈরি করেন।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রফেসর শাহাদাত হোসেন, ইজেনারেশনের নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান এসএম আশরাফুল ইসলাম, এটুআই এর সিটিও মোহাম্মদ আরফে এলাহি, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিটিও মাসুদুল বারি, লিংকডইনের স্টাফ মেশিন লার্নিং সায়েন্টিস্ট বদরুল সারওয়ার, মারকেটা ইনকর্পোরেশনের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার আশিক উজ্জামান, আইবিএমের কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বিশেষজ্ঞ অমিতাভ চক্রবর্তী, রিভারসাইড সফটওয়্যার সল্যুউশনের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পার্থ বসু, সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ রাব্বি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. রিফাত শাহরিয়ার, ইজেনারেশনের বিজনেস ডেলিভারি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক স্বপন কুমার, নুয়ার্কা এর প্রধান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মামুন উল হাসান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সিনিয়র টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট তানিমুল বারি, ইবের স্টাফ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মো. সায়েম আহমেদ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন, লিভিং স্কাই টেকনোলজিসের লিড কিউএ ইঞ্জিনিয়ার নিতি জেবিন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের আইসিটি কনসালট্যান্ট দীপক কুমার চক্রবর্তী, ইন্টেলিয়ার লিমিটেডের হেড অব টেকনোলজি মোজাহিদুল ইসলাম, গ্লোবাল রিলের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন অরণ্য এবং লিডস কর্পোরেশন লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. মোমতাজুল করিম।
সান নিউজ/এফএআর