সান নিউজ ডেস্ক : কম্পিউটারের আয়ু বাড়ুক এটা আমরা সবাই চাই। কিন্তু আমাদের ছোট ছোট ভুলে আয়ু না বেড়ে বরং তা নষ্টের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। সেই ছোট ছোট ভুল আমাদের চোখে বেশির ভাগ সময়ই ধরা পড়ে না। অথচ একটু সচেতন হলেই সেগুলো আমরা এড়িয়ে চলতে পারি। আর কম্পিউটারকে ভালো রাখতে পারি।
চলুন দেখে নিই কিছু পদ্ধতি, যাতে ভালো রাখা যাবে কম্পিউটার।
চার্জের বিষয়ে সতর্ক
আমরা অনেকেই বিদ্যুতের সকেটে সব সময় ল্যাপটপ চার্জার আগে থেকেই লাগিয়ে রাখি। যখন ল্যাপটপে চার্জ দেবার প্রয়োজন হয় তখন চার্জারটি ল্যাপটপে কানেক্ট করে দিই। কিন্তু এটা ভুলপদ্ধতি, এমনকি এর ফলে চার্জার ও ল্যাপটপ দুটিই খুব বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। তাই আগে ল্যাপটপে চার্জার সংযুক্ত করে পরে চার্জারটি সকেটে লাগানো উচিত।
ধৈর্য নিয়ে কম্পিউটার অন করুন
ল্যাপটপ অন করার সময় আমরা অনেকেই মনে করি কেন এত সময় নিচ্ছে? যেন সে সময়ের দু-তিন মিনিট আমাদের কাছে দুই-তিন ঘণ্টা। কিন্তু জানেন কী, এই সময়ে তাড়াহুড়ো করা একদম ঠিক নয়।
অনেকেই যখন স্ক্রিনে ওয়েলকাম… লেখা দেখেন সঙ্গে সঙ্গে কিবোর্ড চাপতে থাকেন। কিন্তু এর ফলে ইন্টারনাল কিছু ইরর হতে পারে। আর ফলাফল হিতে বিপরীত হবার আশঙ্ক বাড়ে।
চার্জ সরাসরি সকেটে নয়, প্রয়োজন এক্সটেনশন কেবল
ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহারের সময় মূল সকেট থেকে সরাসরি পাওয়ার না দিয়ে বরং এক্সটেনশন হিসেবে মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই মাল্টিপ্ল্যাগটি ভালো মানের হতে হবে। এতে বজ্রপাত কিংবা ইলেক্ট্রিক শর্টসার্কিটে কম্পিউটারের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।
বাতাস চলাচল স্বাভাবিক রাখুন
ওয়াল, ফার্নিচার কিংবা হোম ডেকরের পাশে কম্পিউটার রাখায় সতর্ক থাকুন। এগুলো স্বাভাবিক বাতাস চলাচলে বাধা দেয়। কম্পিউটারের কুলিং সিস্টেম সব সময় কাজ করতে হবে। তবেই সেটি ভালো করে দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারবে।
হুট করেই ফোল্ডিং অফ নয়
ট্রাভেল করার সময় আমরা অনেকেই জরুরি কাজ করি ল্যাপটপে। কিংবা কোনো প্রয়োজনে কাজ করছি, প্রয়োজন শেষেই ল্যাপটপটি হুট করেই ফোল্ডিং নামিয়ে রেখে দিই। এমন না করে বরং আমাদের নিশ্চিত করা উচিত যে, ফোল্ডিং অফ করার ক্ষেত্রে কম্পিউটার স্লিপ বা হাইবারনেট মোডে দেওয়া।
রোদ থেকে বাঁচান কম্পিউটার স্ক্রিন
কম্পিউটারের স্ক্রিনে কখনো সরাসরি রোদ পড়তে দেবেন না। এতে যেমন ডিসপ্লে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি আবার পুরো কম্পিউটারই নষ্ট হবার আশঙ্কা থাকে।
চার্জিং কড ভালো থাকতে হবে
চার্জিং কড নষ্ট হলেও আমরা সেটি কাটাছেঁড়া করে, জোড়াতালি দিয়ে ব্যবহার করি। যেহেতু সেই তারের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়, তাই যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
আর চার্জিং কড কোনোভাবে যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। হয় বদলান, না হয় কম্পিউটার যে নষ্ট হচ্ছে সেটি নিশ্চিত হোন। এমনকি একেবারে টাইট, কিংবা একেবারে ঢিলা কড ব্যবহার করবেন না।
খেয়াল রাখুন সফটওয়্যারেও
কম্পিউটারে অনেক প্রোগ্রাম থাকে, যেগুলো কম্পিউটারের গতি ধীর করে দেয়। এমনকি অনেক প্রোগ্রামের প্রয়োজন না থাকলেও ইনস্টল করে রাখি। সেগুলো আনইনস্টল করে দিন, একই সঙ্গে নতুন কিছু প্রোগ্রাম ইনস্টল করুন। দেখবেন আপনার কম্পিউটারের আয়ু বেড়ে গেছে।
ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ভালো রাখতে এই ছোট ছোট ভুল এড়িয়ে চলুন। সতর্ক ব্যবহার আপনার কম্পিউটারের পাশাপাশি আপনাকেও নিরাপদে রাখবে।
সান নিউজ/এসএম