সান নিউজ ডেস্ক: কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে বের হওয়া নীল আলোকরশ্মি আমাদের শরীরের জন্য অনেকটা ক্ষতিকর এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই নীল আলোকরশ্মির বেশকিছু গুণ আছে সেটা আমাদের অনেকেরই হয়তো অজানা।
বর্তমান বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দৈনন্দিন প্রায় প্রতিটি কাজেই আমাদের কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হয়।
কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে নির্গত হওয়া আলোর মধ্যে ৭টি রঙের রশ্মিই থাকে। কিন্তু এর মধ্যে নীল রশ্মি সবচেয়ে শক্তিশালী। তাই এটি ক্ষতিও করে সবচেয়ে বেশি। এবার কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের নীল আলো সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা জেনে নেওয়া যাক।
কেন এই নীল আলোকরশ্মি ক্ষতিকারক-
১. এই আলোকরশ্মীর কারণে ঘুম কমে যায়।
২. চোখে অনেক চাপ পড়ে। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে।
৩. কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মস্তিষ্কে চাপ পড়ে।
এই নীল আলোকরশ্মি ক্ষতির পাশাপাশি কিছু উপকারও করে। সেগুলো হলো-
১. নীল আলোকরশ্মি মস্তিষ্ককে অনেক বেশি সজাগ রাখে। মন দিয়ে কোনো লেখার জন্য কাগজ-কলমের চেয়ে কম্পিউটারের স্ত্রিন অনেক কার্যকর। কারণ এতে অনেক ক্ষেত্রে মনসংযোগ বা়ড়ে।
২. পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে এই রশ্মি।
৩. কম্পিউটার বা স্মার্টফোন এই রশ্মি মন খারাপ থেকে বিরত রাখতে পারে।
৪. যদি শুধুমাত্র দিনের আলোয় কম্পিউটার আর স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয়, তাহলে এই রশ্মির কারণে রাতে ঠিক সময়ে ঘুম আসে। আবার সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙে।
এই নীল আলোকরশ্মির ক্ষতিকারক দিক কিভাবে এড়ানো যায় সেগুলো হলো-
১. ২০-২০-২০ এই নিয়মটা অনেকটা কাজে দেয়। টানা ২০ মিনিট কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে, তার পরে অন্তত ২০ ফুট দূরের কোনও বস্তুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। এতে চোখের উপর চাপ কমে যাবে।
২. কম্পিউটারের পর্দা থেকে অন্তত ২৫ ইঞ্চি দূরে বসুন।
৩. এমন একটা উচ্চতায় কম্পিউটারের স্ক্রিন রাখুন, যাতে আপনাকে একটু নীচের দিকে তাকাতে হয়।
৪. স্ক্রিনের কনট্রাস্ট কিছুটা বাড়িয়ে রাখুন। এতে চোখের উপর চাপ কমবে।
৫. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের সমস্যা সমাধানের ওষুধ ব্যবহার করুন।
সান নিউজ/এমএম