নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘ন্যাশনাল হেল্প লাইন ৩৩৩ নম্বর থেকে গত চার বছরে মোট তিন কোটি ৯৬ লাখ মানুষ সেবা নিয়েছে। জরুরি খাদ্য সহায়তা ছাড়াও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে গত ১৫ মাসে আইসিটি বিভাগের ডক্টর’স পুলের মাধ্যমে দেশের ৪০ লাখ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন।
সোমবার (২২ জুন) নাটোর জেলা অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ, ইনক-এর অভিষেক ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এতে তিনি অনলাইনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
দেশের ১৭ কোটি মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালীন ই-ফাইলের মাধ্যমে গত ১৫ মাসেই প্রায় ৩৮ লাখ ফাইল নিষ্পন্ন হয়েছে। ফলে লাল ফিতার দূরত্ব কমেছে। প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অতীতে ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা কখনোই দেশের নাগরিকদের প্রয়োজনে একটি কল সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। দেশের মানুষের সেবার জন্য তারা কখনো ভালো কিছু চিন্তা করেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম বাংলাদেশের জরুরি কল সেন্টার স্থাপন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যেমন জরুরি প্রয়োজনে ৯১১-এ কল করে দ্রুত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়। তেমনি আমাদের দেশের ১৭ কোটি মানুষ তারা ৯৯৯-এ ফোন করলে দ্রুত পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে যায়। মাত্র চার বছরে প্রায় দুই কোটি ৯৬ লাখ মানুষ এ সেবা পেয়েছে।
তিনি বলেন, ১২ বছর আগেও আমরা নিম্ন আয়ের দেশ ছিলাম। শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, মেধা, সাহসিকতার ও সততা দিয়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং প্রশাসনিক প্রায় সকল কার্যক্রম ডিজিটাল ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে নেয়া সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ই-কমার্স অনেক শক্তিশালী হয়েছে উল্লেখ করে পলক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মত বাংলাদেশের মানুষ অনলাইনে শপিং করতে পারছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত যেকোনো পণ্য, যেকোনো সেবা ঘরে বসেই নাগরিকদেরকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ মাসে বিচারিক মামলা ভার্চুয়াল কোর্টে সম্পাদন হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার জামিন সম্পাদন করা হয়েছে। করোনাকালীন বর্তমান সরকার প্রায় দেড় কোটি পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন এবং ৮৬ লাখ কর্মহীন পরিবারকে মোবাইল ফাইনান্সিয়াল ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগের সেন্টাল এইড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেমের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে সঠিক ব্যক্তিদের দুই হাজার ৫০০ টাকা করে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ মো. শরিফুল ইসলাম, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইনক-এর সাবেক প্রধান উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইনক-এর সভাপতি ডা. আব্দুল লতিফ ও বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার।
সাননিউজ/এমএইচ