নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঘাইছড়ি: অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে অ্যাকটিভ ছিল ইন্টারনেট প্যাকেজ, সেটি ফোর-জি। কিন্তু সময়ে সময়ে মোবাইলের স্ক্রিনে নেটওয়ার্কের জায়গাটিতে ভেসে আসছিল ইংরেজি বর্ণমালার ‘ই’ (এই অক্ষরটি টুজিকেই বোঝায়)। আর থ্রিজি নেটওয়ার্ককেই নির্দেশ করে এইচ বা এইচ প্লাস।
বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় এমন নেটওয়ার্ক কাভারেজ দেখা গেছে মোবাইল ফোন অপারেটর এয়ারটেল ও রবিতে।
ফোর-জি প্যাকেজ কিনে টুজি নেটওয়ার্কে বিলম্বিত ইন্টারনেট সেবা নিয়ে গ্রাহকদের তিক্ত অভিজ্ঞতা দীর্ঘ দিনের।
আর গ্রাহকদের এই অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দেখা গেলো ফোর-জি কাভারেজের মধ্যে চলে আসছে টুজি নেটওয়ার্ক। আর তাতে ইন্টারনেটের ধীরগতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে দক্ষিণের আমতলী ইউনিয়ন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে তিন ঘণ্টা ধরে মোবাইলের ইন্টারনেট সচল রেখে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি স্থানে টুজি কাভারেজ।
মাদ্রাসা পাড়া, জি ওয়ান ব্লক, এফ ব্লক বটতলী লাইল্যাঘোনা, সিজক,সারোয়াতলী, দুরছড়ি এলাকায় টুজি কাভারেজ পাওয়া যায়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা এসব স্থানে কোথাও ধীরগতি আবার কোথায় একটু ভালো কাভারেজ পাওয়া যায় ।
বাঘাইছড়ি ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায় ইংরেজির ‘ই’। ওই সময় ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে গিয়ে কিছুটা বিড়ম্বনায়ও পড়তে হয়। সেখান থেকে দুরছড়ি পর্যন্ত ওই টুজি নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়।
অপারেটরটির কাস্টমার কেয়ার নম্বরে ফোন করা হলে ৫ থেকে ৬ মিনিট পর ফোন ধরে, পরে সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে একজন কর্মী জানান, আমরা আপনার অভিযোগ নিয়ে কাজ করছি। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান পাবেন। কিন্তু সারা দিনেও সমস্যা সমাধান হয়নি।
উপজেলা সদরে অবশ্য এইচ বা এইচ প্লাস চলে আসে। মাঝে মাঝে ফোর-জি দেখা যায় আর সে সময় ইন্টারনেটের গতি ছিল বেশি। মুসলিম ব্লক এলাকায় দেখা যায় এইচ প্লাস থেকে ‘ই’ ভেসে উঠে স্ক্রিনে। করেঙ্গাতলী পর্যন্ত স্ক্রিণে দেখা যায় ‘ই’।
এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি পৌরসভার দুই নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন সরকার বলেন, ফোনে জরুরি কথা বলার সময় ৩০ সেকেন্ড পর পর কল কেটে যাচ্ছে এমন বেশ কয়েকবার হয়েছে বিরক্তিকর অবস্থা। এতো নিম্ন মানের নেটওয়ার্ক বাঘাইছড়িতে কল্পনা করা যায় না।
অনেক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করতে হয়, এমন নেটওয়ার্ক এর ফলে অনলাইনে ক্লাসে ব্যাঘাত ঘটছে।
সান নিউজ/ আরএস