নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারে রিয়েলমি তাদের রিয়েলমি ওয়াচ এস উন্মোচন করেছে। এর আগে, চলতি বছরের মে মাসে বৈশ্বিকভাবে রিয়েলমি ওয়াচ উন্মোচন করে প্রতিষ্ঠানটি। রিয়েলমি ওয়াচ এস প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় স্মার্টওয়াচ। রিয়েলমি ওয়াচ এস-এ রয়েছে ১.৩ ইঞ্চি টাচস্ক্রিনসহ একটি সার্কুলার ডায়াল। এতে আরো আছে একটি অপটিক্যাল হার্ট রেট সেন্সর ও ব্লাড অক্সিজেন মনিটর সেন্সর।
রিয়েলমি ওয়াচ এস-এর রেজ্যুলেশন ৩৬০x৩৬০ পিক্সেল এবং অটো-ব্রাইটনেস সেন্সরসহ টাচস্ক্রিন; যা রিয়েলমি ওয়াচের ক্ষেত্রে প্রথম। রিয়েলমি ওয়াচ এস-এ অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় কেস ব্যবহার করা হয়েছে এবং স্ক্র্যাচ-রেজিট্যান্সসের জন্য আছে কর্নিং গরিলা গ্লাস। রিয়েলমি ওয়াচ এস-এ আছে আইপি৬৮ রেটিং, যার ফলে এটি ১.৫ মিটার গভীরতা পর্যন্ত পানি প্রতিরোধক।
রিয়েলমি ওয়াচ এস-এ অপটিক্যাল হার্ট-রেট সেন্সর এবং ব্লাড অক্সিজেন লেভেল মনিটরিং সেন্সর (এসপিও২) আছে। তাছাড়া, এতে মোট ১৬ টি স্পোর্টস মোড রয়েছে।ডিসপ্লেইং অ্যাপ নোটিফিকেশন ছাড়াও, ব্যবহারকারীরা ডিভাইসটি দিয়ে মিউজিক প্লেব্ল্যাক ও দূর থেকে ফোনের ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। ফোনে ওয়াচ ফিচার ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য পেতে হলে ব্যবহারকারীদের রিয়েলমি লিংক অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। রিয়েলমি লিংক অ্যাপটি বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে পাওয়া যাচ্ছে।
রিয়েলমি ওয়াচ এস-এ ফ্রিআরটি ভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে এবং এতে রয়েছে ৩৯০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যা ১৫ দিন পর্যন্ত ব্যাটারি সুবিধা দিবে। প্রোপ্রাইটারি ম্যাগনেটিক চার্জার দিয়ে মাত্র দুই ঘণ্টায় ০ থেকে ১০০ শতাংশ চার্জ দেয়া যাবে।
ইউরোপের বাজারে রিয়েলমি ওয়াচ এসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৯.৯৯ ইউরো। ওয়াচটিতে ২২মিলিমিটার রিস্ট স্ট্র্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে, যা সহজে বিভিন্ন রঙের স্ট্র্যাপ দিয়ে পরিবর্তন করা যায়।
রিয়েলমি : ই-কমার্সের বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে দৃঢ় পারফরমেন্স এবং ট্রেন্ডি ডিজাইন সরবরাহকারী ডিভাইস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ২০১৮ সালের মে মাসে রিয়েলমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রিয়েলমির বিভিন্ন পণ্য প্রবর্তনের সাথে সাথে তাদের ‘পাওয়ার’ এবং ‘স্টাইল’ এর জন্য ব্যাপক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ভারতে রিয়েলমি দীপাবলির সময় ৩ দিনের মধ্যে ১ মিলিয়ন মোবাইল ফোন বিক্রি রেকর্ড গড়েছিল।
রিয়েলমি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লাজাদার বিক্রির রেকর্ডও ভেঙে এই প্ল্যাটফর্মের মোবাইল ফোন বিভাগে ১ নম্বর ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছিল। চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, মিশর ইত্যাদির মতো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রিয়েলমি ৬১টিরও বেশি দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে।
ফেব্রুয়ারি ২০২০, রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করেছে। রিয়েলমি শক্তিশালী পারফরম্যান্স, আড়ম্বরপূর্ণ ডিজাইন, আন্তরিক পরিষেবাগুলো সরবরাহ এবং স্মার্টফোনের আরও সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সান নিউজ/এনকে/এস