টেকলাইফ ডেস্ক:
কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ‘কাট-কপি-পেস্ট’ কমান্ডের প্রবর্তক ল্যারি টেসলার আর নেই। ৭৪ বছর বয়সে এই প্রখ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানী মারা গেছেন।
দীর্ঘদিন চিকিৎসারত থাকার পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
কম্পিউটার বিজ্ঞানী ল্যারি টেসলারই সর্ব প্রথম কাট, কপি এবং পেস্ট কিভাবে করতে হয় এর উদ্ভাবন করেন। এ উদ্ভাবনের ফলেই এই তিন কমান্ডের সুবাদে কম্পিউটারে একটি কাজ একবারে করে বারবার ব্যবহার করা যায়।
স্টিব জবস বা বিল গেটসের মতো খ্যাতিলাভ করতে না পারলেও ল্যারি জনবান্ধব কম্পিউটার সিস্টেম প্রচলনের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত। কম্পিউটার সিস্টেমকে জনবান্ধব করার বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে তিনি ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইনিংয়ে পাঠ নেন। ১৯৬০ সালে যখন কম্পিউটারের প্রচলন খুব একটা হয়নি তখনই প্রযুক্তি উপত্যকা খ্যাত সিলিকন ভ্যালিতে কর্ম জীবন শুরু করেন ল্যারি টেসলার।
দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে তিনি অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় ফটোকপি ও প্রিন্টিং খাতের প্রযুক্তি নির্মাতা জেরক্সের পালো অলটো রিসার্চ সেন্টারে (পার্ক)। সেখান থেকে তাকে অ্যাপলের জন্য নিয়ে যান স্টিভ জবস। বর্তমান সময়ের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান অ্যাপলে ১৭ বছর কাজ করার এক পর্যায়ে ল্যারি সেখানকার প্রধান বিজ্ঞানী পদে অধিষ্ঠিত হন। একসময় অ্যামাজন ও ইয়াহুর মতো শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেন ল্যারি।
এদিকে টেসলারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল জেরোক্স। একটি টুইটে টেসলারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জেরোক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়, ধন্যবাদ তার বৈপ্লবিক চিন্তাকে যেটা আপনার কাজকে আরো সহজ করে দিয়েছে। এমন অনেক যুগান্তকারী কমান্ডের প্রবর্তন আপনাকে প্রযুক্তিবিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন রাখবে।
ল্যারি টেসলার জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৫ সালে নিউ ইয়র্কে। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন।
স্নাতক শেষ হওয়ার পরই মূলত তিনি কম্পিউটারের প্রতি আরো মনোনিবেশ করেন। তিনি এই যন্ত্রের কাজকে কি করে আরো সহজ করা যায় তারই চেষ্টা করতে থাকেন। এর ফল স্বরূপ একসময় কম্পিউটার ইউজার ইন্টারফেসে বিপ্লব ঘটিয়েছেন এই বিজ্ঞানী।সুত্র:বিবিসি।
সান নিউজ/সালি