স্পোর্টস ডেস্ক : নাসিরের বিরুদ্ধে আবুধাবির টি-টেন লিগে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ তুলেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।। তারই জের ধরে এবারে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হলেন সাবেক এই অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন : টিভিতে আজকের খেলা
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘আমরা তাকে বিপিএল ড্রাফটের তালিকায় রাখিনি। আইসিসি ক্লিয়ার না করা পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো ঘরোয়া টুর্নামেন্টে সে খেলতে পারবে না।’
আরও পড়ুন : বিশ্বকাপের দল ঘোষণা পাকিস্তানের
২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত টি-টেন লিগে খেলার সময় নাসিরসহ তিন ক্রিকেটার এবং পাঁচজন অফিসিয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ। এর মধ্যে নাসির ভেঙেছেন তিনটি ধারা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্নীতি দমন বিভাগের ধারা ২.৪.৩ অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার ৭৫০ ডলার মূল্যের বেশি উপহারসামগ্রী নিলে তা আইসিসি বা টুর্নামেন্টের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের জানাতে হয়।
আরও পড়ুন : দায়িত্ব ছাড়লেন হাফিজ
তবে নাসির সেটা পালন করেননি। উল্টো আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতাও করেননি। উল্টো তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করায় ২.৪.৪ ও ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে আসন্ন বিপিএলের ড্রাফটে জায়গা করে নিতে পারেননি নাসির। আর বোর্ডের নিষেধাজ্ঞার কারণে তার খেলা হচ্ছে না আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও।
আরও পড়ুন : বৃষ্টিতে প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত
প্রসঙ্গত, আগামীকাল রোববার বিপিএলের দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২০৩ জন দেশি ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে। সাতটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে তাদেরকে। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে 'এ' ক্যাটেগরিতে থাকছেন মুশফিকুর রহিম। এই ক্যাটাগরিতে গতবারের মতোই ৮০ লাখ টাকা থাকছে। 'বি' ক্যাটেগরিতে আছেন চার জন ক্রিকেটার। তারা হলেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, এবাদত হোসেন, ইমরুল কায়েস ও রনি তালুকদার। তাদের পারিশ্রমিক ৫০ লাখ টাকা। 'সি' থেকে 'জি' এর তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের ভিত্তিমূল্য ৩০ লাখ, ২০ লাখ, ১৫ লাখ, ১০ লাখ ও ৫ লাখ টাকা।
সান নিউজ/এমআর