স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করে টাইগাররা।
আরও পড়ুন : ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ওপেনিং ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু নিয়মরক্ষার ম্যাচেও ব্যর্থ হন বাংলাদেশের ওপেনাররা। দলীয় ১৫ রানের মধ্যেই দুই ব্যাটারকেই ফেরান ভারতীয় বোলাররা।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই লিটনকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামির শিকার হন তিনি। পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন জুনিয়র তামিম। মাঠ ছাড়ার আগে ১২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৩ রান করেন।
আরও পড়ুন : বিকালে নামছে বাংলাদেশ-ভারত
লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন আনামুল হক বিজয়। শার্দুল ঠাকুরের দ্বিতীয় শিকার বনে ১১ বলে ৪ রান করে বিদায় নিতে হয় তাকে। এরপর অধিনায়ক সাকিব ও মিরাজের ব্যাটে প্রাথমিক চাপ সামাল দেয় টাইগাররা। তবে ৩ ও ৫ রানে দুইবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মিরাজ।
দলীয় ৫৯ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে বিদায় নেন মিরাজ। ভারতীয় স্পিনার অক্ষর প্যাটেলেড় বলে স্লিপে রোহিত শর্মার হাতে ক্যচ দিয়ে বসেন তিনি। বিদায়ের আগে ধীরগতিতে ২৮ বলে ১৩ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন সাকিব-হৃদয়। পঞ্চম উইকেট তারা দুজনে মিলে ১১৫ বলে ১০১ রানের জুটি গড়েন।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ
এর মাঝে সাকিব তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৫৫তম ফিফটি। তবে ৮৫ বলে ৬টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৮০ রানে থেমে যায় তার ইনিংস।
ক্যারিয়ারের নবম ওয়ানডেতে দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটির পথেই ছিলেন নাসুম আহমেদ। আগের ৮টি ওয়ানডেতে সবমিলে ৪৪ রান করা এই স্পিনার এদিন খেলেন ৪৫ বলে ৬টি চার আর এক ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস।
নাসুম আউট হওয়ার পর দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যান মাহদি হাসান। তিনি ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ২৩ বলে তিন বাউন্ডারিতে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আরও পড়ুন : টিভিতে আজকের খেলা
শেষদিকে নাসুম আহমেদ ও মাহদি হাসানের দারুণ ব্যাটিংয়ে দুইশর কোটায় অলআউটের শঙ্কা কাটিয়ে ২৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ।
সান নিউজ/এমআর