স্পোটর্স ডেস্ক : এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জিতলেই ফাইনাল, আর হারলে বিদায় এমন সমীকরণের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাঁচা-মরার এই লড়াইয়ে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন : টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান
কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৪২ ওভারে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। ব্যাট হাতে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৮৬ রান করেন উইকেটকিপার ব্যাটার রিজওয়ান।
এদিন বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেও টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ফখর জামান কিছুটা ধীরে শুরু করেন। কিন্তু পঞ্চম ওভারে লঙ্কান পেসার প্রমদ মাধুসনের বলে বিদায় নেন ফখর। বিদায়ের আগে ১১ বলে ৪ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন : পাকিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচে বিলম্ব
এরপর অধিনায়ক বাবর ও শফিকের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। তারা দুজনে মিলে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েন। কিন্তু এদিন সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাবর। দুনিথ ওলালাগের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন পাক অধিনায়ক। দলীয় ৭৩ রানের মাথায় ৩৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৯ রান করে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
বাবর ফিরলেও ওপেনার ইমাম-উল-হকের বদলি হিসেবে দলে সুযোগ পেয়ে দারুণভাবে কাজে লাগান আব্দুল্লাহ শফিক। চতুর্থ ম্যাচে এসে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিও তুলে নেন তিনি। কিন্তু ফিফটির পর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। ফলে ৬৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রানে করেন শফিক।
আরও পড়ুন : ভারতের বিপক্ষে নেই মুশফিক
দলীয় একশ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলার পর তরুণ মোহাম্মদ হারিস ব্যাটিংয়ে আসেন। কিন্তু পাথিরানার বলে বিদায় নেন তিনি। বিদায়ের আগে করেন ৯ বলে মাত্র ৩ রান। এরপর আরেক ব্যাটার মোহাম্মদ নওয়াজও থিতু হতে পারেননি। ১২ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি। এতে দলীয় ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় তারা।
সেখান থেকে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদ দলের হাল ধরেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে ১০৯ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াকু পুঁজির ভিত গড়ে দেন। শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার তাড়ায় বিদায় নেন ইফতিখার। ৪০ বলের ইনিংসে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৭ রান করেন তিনি।
তবে ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি তুলে নেওয়ার পর ইনিংসের শেষ শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে ২৫২ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত ৭৩ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
সান নিউজ/এমআর