স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই ছিল বৃষ্টির শঙ্কা। হলোও তাই। ভারত ব্যাটিংয়ে নামলে দুইবার হানা দেয় বৃষ্টি। তবে ইনিংসটা শেষ করা গেছে। জয় পেতে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাড়ায় ২৬৭ রান। কিন্তু খেলায় আবারো বাগড়া দেয় বৃষ্টি। ফলে লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যাটিংয়ে নামার আর সুযোগই হয়নি বাবার-রিজওয়ানদের। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে গেলো। ফলে দুই দলকে ১ পয়েন্ট করে ভাগাভাগি করতে হয়েছে।
নিজেদের আগের ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে ২ পয়েন্ট পেয়েছিলো পাকিস্তান। দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এশিয়া কাপে সবার আগে সুপার ফোরে উঠলো বাবর আজমের দল।
এর আগে ভারতের ইনিংসের ৪২ ওভার শেষে স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ২৩৭ রান। কিন্তু সেখান থেকে আর ৩০ রান যোগ করতেই অলআউট রোহিত শর্মার দল। ডেথ ওভারে পাকিস্তানি পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এশিয়া কাপের এই হাইভোল্টেজ এই লড়াইয়ে দুইবার বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত ৪.২ ওভারে বিনা উইকেটে ১৫ রান তোলার পর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়।
বৃষ্টির পর খেলতে নেমে শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপের মুখে পড়ে ভারত। পাকিস্তানি এই পেসার নিজের টানা দুই ওভারে ফিরিয়ে দেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দুই স্তম্ভ রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলিকে।
শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন রোহিত। ২২ বল থেকে ১১ করে সাজঘরের পথ ধরেন ভারতীয় অধিনায়ক। দলীয় ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
নিজের পরের ওভারে আফ্রিদির আরেকটি দুর্দান্ত ডেলিভারি। এবার ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড কোহলি। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৭ বলে ৪ রান। ২৭ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত।
এরপর অতি মারমুখী হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন মিডলঅর্ডার ব্যাটার শ্রেয়াস আয়ার। হারিস রউফকে পুল খেলতে গিয়ে ফখর জামানের ক্যাচ হয়ে কাটা পড়েন তিনি। ৯ বলে আয়ারের সংগ্রহ ১৪। ১১.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৫১ রান তোলার পর ফের নামে বৃষ্টি।
ভারতের ছন্দ পতনের অন্যতম কারণ বলা যায় বৃষ্টি। প্রথম বারের মত আবারো বৃষ্টি থামলে আঘাত হানেন আরেক পাক পেসার হারিস রউফ। ব্যাটে লেগে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হন শুভমান গিল (৩২ বলে ১০)।
৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন হার্দিক আর ইশান। পঞ্চম উইকেটে তারা গড়েন ১৪১ বলে ১৩৮ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নেন হার্দিক-ইশান দুজনই।
ভারতীয় শিবিরে আবারো আঘাত হানেন হারিস রউফ। ৮১ বলে ৯ চার আর ২ ছক্কায় ঝোড়ো ৮২ করা ইশানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর ব্যক্তিগত ৮৭ রানে আফ্রিদির বলে আউট হন হার্দিক। ৯০ বলের ইনিংসে ৭টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান এই হার্ডহিটার ব্যাটার।
দুই সেট ব্যাটারকে হারানোর পর ভারতের বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। শেষদিকে ভারতীয়দের চেপে ধরেন নাসিম-আফ্রিদিরা। ফলে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে ২৬৬ রানেই থেমে যায় ভারতের ইনিংস।
পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ৩৫ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট। এছাড়া তিনটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন নাসিম শাহ আর হারিস রউফ।
সান নিউজ/জেএইচ