স্পোর্টস ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের জন্য স্পেনের জন্য এর চেয়ে ভালো মঞ্চ ছিল না। এক বছর আগে এই ‘লা রোহা’দের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিদায় করেছিল ইংলিশরা।
আরও পড়ুন: মেসি ম্যাজিকে মিয়ামি চ্যাম্পিয়ন!
এবার বিশ্বকাপের ফাইনাল মঞ্চে যেন তার প্রতিশোধ নিল স্পেনের মেয়েরা। দুই দলের প্রথমবারের ফাইনালে জয় পেয়েছে 'লা রোহা'রা। সেরিনা ওয়েগম্যানের শিষ্যদের তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে নারী বিশ্বকাপ পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন।
দীর্ঘ এক মাসের টুর্নামেন্টের পর আজ অল-ইউরোপিয়ান ফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হয় বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলা উপহার দিলেও ফাইনালে এসে এলা টনি আর লরেন হ্যাম্পরা যেন বোতলবন্দি হয়ে ছিল। বিপরীতে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল দিয়ে পূর্ণ সুবিধা আদায় করে নিয়েছে স্পেন।
আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে ওঠা হল না ইমরানুরের
স্পেন ম্যাচের শুরু থেকে ইংলিশদের চাপে রেখেছিল। বল পজিশনিং থেকে শুরু করে গোলে শট, সবখানেই স্প্যানিশদের আধিপত্য ছিল। যদিও ম্যাচের প্রথম বড় সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ডই।
দলের ম্যানসিটি স্ট্রাইকার লরেন হ্যাম্পের জোরালো শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। এমন সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পরই যেন ভেঙে পড়ে ইংলিশদের মনোবল।
বিপরীতে স্পেন আক্রমণের ধার বাড়ায়। ম্যাচের প্রথম বিশ মিনিট পর্যন্ত নিজেদের পায়েই ৮০ শতাংশ বল রেখেছিল। আক্রমণের সেই ধারাতেই ২৯ মিনিটে লিড পায় স্পেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
বার্সেলোনা তারকা মারিওনা কালদেন্তি বাম প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে আসেন। ডি-বক্সের ঠিক আগেই পাস দিয়েছেন লেফটব্যাক থেকে ওভারল্যাপ করে আসা অধিনায়ক ওলগাকে।
বাম পায়ের কোণাকুনি শটে ইংলিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ফুটবলার (১-০)।
স্প্যানিশরা গোল দেওয়ার পর আরও বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিতে শুরু করে। বল পজিশন ধরে রেখে আরও একাধিকবার আক্রমণে ওঠে তারা। যদিও ফিনিশিং দুর্বলতায় প্রথমার্ধে আর গোল পাওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: আফগানদের বিপক্ষে দল ঘোষণা
দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ড দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। লরেন জেমস আর ক্লোয়ি কেলিকে মাঠে নামান কোচ ওয়েগম্যান। যদিও অতি আক্রমণাত্মক মানসিকতার সুফল তারা পায়নি।
খেলার ধারার বিপরীতে দুইবার বড় সুযোগ পেয়েছিল স্পেন। দুইবারই তাদের গোলবঞ্চিত করেছেন ইংলিশ গোলরক্ষক মেরি ইয়ার্পস।
প্রথমে কালদেন্তির একক প্রচেষ্টায় নেওয়া দারুণ এক শট ফিরিয়ে দিয়েছেন। পরে জেনিফার হারমোসোর পেনাল্টিও ঠেকিয়েছেন। ইংল্যান্ডকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখার যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন ইয়ার্পস। তবে, দলের ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় ইংলিশদের গোল আর পাওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে তামিমকে ভীষণ দরকার
ইংলিশ মেয়েরা অতিরিক্ত ১৩ মিনিটেও সুবিধা করতে পারেনি। উলটো হারমোসো, কালদেন্তিদের আক্রমণ ঠেকাতেই তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে।
অবশেষে অধিনায়ক ওলগার গোলেই প্রথমবারের মতো নারী ফুটবলে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেল স্পেন।
সান নিউজ/এইচএন