স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রথম পেস বোলার হিসেবে ক্রিকেট ইতিহাসে ৬০০ উইকেট শিকার করেছেন ইংল্যান্ডের পেসার জিমি অ্যান্ডারসন। যেখানে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যকার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট হয়েছে ড্র। তিন ম্যাচ সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতেছে ইংল্যান্ড।
পেসার হিসেবে প্রথম হলেও ৬০০ উইকেটের মাইলফলকের তালিকায় অ্যান্ডারসন হলেন চতুর্থ বোলার। এই তালিকায় বাকি তিন বোলার হলেন শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন (৮০০ উইকেট), অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন (৭০৮ উইকেট) ও ভারতের অনিল কুম্বলে (৬১৯ উইকেট)।
২০০৩ সালে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন জিমি অ্যান্ডারসন। ১৫৬ ম্যাচে ২৯১ ইনিংসে ৩৩,৭১৭ বলে ২৬.৭৬ গড়ে ৫৬.১ স্ট্রাইক রেটে ৬০০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যেখানে অ্যান্ডারসনের সেরা ইনিংস বোলিং ফিগার ৪১ রানে ৭ উইকেট। আর ম্যাচ সেরা বোলিং ফিগার হলো ৭১ রানে ১১ উইকেট। ইনিংসে অ্যান্ডারসন ৫ উইকেটে নিয়েছেন ২৯ বার।
পেসারদের মধ্যে সেরা পাঁচ বোলারের তালিকায় অ্যান্ডারসনই একমাত্র ৬০০ উইকেট শিকারী। তালিকায় অ্যান্ডারসনের পরের বোলাররা হলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩ উইকেট), ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ওয়ালশ (৫১৯ উইকেট), ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড (৫১৪ উইকেট) ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন (৪৩৯ উইকেট)।
অ্যান্ডারসন প্রথম উইকেট হিসেবে আউট করেন জিম্বাবুয়ের ভার্মেলুনকে। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিসকে আউট করে নেন ১০০ তম উইকেট। ২০০তম উইকেট নেন ২০১০ সালে, আউট করেন অস্ট্রেলিয়ার পিটার সিডলকে। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের পিটার ফুলটনকে আউট করে নেন ৩০০তম উইকেট। নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ছিলেন অ্যান্ডারসনের ৪০০তম উইকেটের শিকার। এই ঘটনা ২০১৫ সালে। ২০১৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রেইস ব্রাথওয়েট আউট করার মধ্য দিয়ে ৫০০ তম উইকেটের মাইলফলকে পৌছান অ্যান্ডারসন।
এদিকে বৃষ্টি বিঘ্নিত এই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ফলো অনে ২ উইকেটে ১০০ রান নিয়ে ম্যাচের শেষ দিন শুরু করে পাকিস্তান। বৃষ্টির কারণে চা বিরতিরও পর খেলা শুরু হয়। যেখানে আজহারকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের ৬০০তম উইকেট নেন ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের রান যখন ৪ উইকেটে ১৮৭ তখন দুই দলের অধিনায়ক ম্যাচ ড্র মেনে নেন।
ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে ৫৮৩ রান করে তাদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল। যেখানে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন জ্যাক ক্রলি (২৬৭ রান) ও সেঞ্চুরি করেছিলেন জস বাটলার (১৫২ রান)। পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৭৩ রান। সেঞ্চুরি করেছিলেন আজহার আলী (১৪১ রান) ও ৫৩ রান করেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ফলো অনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করে সফররতরা। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নেন অ্যান্ডারসন।