ক্রীড়া প্রতিবেদক : টেস্ট ক্রিকেটকে বলা হয় ক্রিকেটের সব থেকে অভিজাত সংস্করন। আর এই ফরমেটে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই জয় পেলেন লিটন দাস। তাও আবার বিশাল ব্যাবধানে। এমন অর্জন অনেক সম্মানের। তবে দলনেতা হিসেবে আছে নানা চ্যালেঞ্জ। নিজের পারফর্মেন্স ঠিক রাখা সেই সাথে দলের দায়িত্ব। আর এই চ্যালেঞ্জকে কিভাবে দেখছেন লিটন?
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের ওয়ানডে দল ঘোষণা
আজ (শনিবার) আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫৪৬ রানের বিরাট জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে প্রথমেই এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন লিটন। জানালেন অধিনায়কত্ব ভালোই উপভোগ করছেন তিনি।
লিটন বলেন, ‘অধিনায়কত্ব খুব উপভোগ করেছি। বোলাররা যেভাবে আমাকে সহায়তা করেছে। বিহাইন্ড দ্য বল দেখছি যে বোলাররা বল ক্যারি করাচ্ছে। ফলে কিপিং করতেও মজা লেগেছে। যখন অধিনায়ক থাকি তখন ভালো লাগে যে এখানে উইকেট পাওয়ার সুযোগ থাকে।’
জয়টা এমন একপেশে, এত বিশাল হবে-তা কি ভেবেছিলেন? জবাবে লিটন দাস বলেন, যখন প্রথম ইনিংসে শান্ত ও জয়ের ভিত্তিতে আমরা ভালো স্কোর করলাম, তখন থেকে আমরা বিশ্বাস ছিল যে প্রথম ইনিংসের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তাদের আমরা দেড়শ’র আগে অলআউট করেছি।
কাজেই কোন পথে যেতে পারি ব্যবধানটা তখনই বোঝা গেছে। তবে উইকেট কঠিন ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও আমাদের ব্যাটাররা যেভাবে নিজেদের তুলে ধরেছে, এটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের ব্যাটার, বোলার ও পুরো দলের, যোগ করেন অধিনায়ক।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের রেকর্ড গড়া জয়
দেশের মাটিতে টেস্টে তিন পেসার খেলা নিয়ে লিটন বলেন, ‘মিরপুরে আমরা কখনও তিন পেসার নিয়ে খেলিনি। যেহেতু উইকেটের আচরণটাই এমন ছিল যে, তিন পেসার নিয়ে খেলার মতো। পেসারদের জন্য যথেষ্ট রসদ ছিল উইকেটে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আমি অধিনায়ক হিসেবে খুব খুশি।’
লিটন অবশ্য বড় কৃতিত্ব দিতে চান ব্যাটারদের, এটা এমন একটা ব্যবধান, যখন চাইলেই হবে না। আর এর জন্য কৃতিত্ব ব্যাটারদের, কারণ উইকেট অতটা সহজ ছিল না। প্রতিটা ব্যাটারকেই কৃতিত্ব দিতে হবে। তবে আমাদের বোলাররাও খুবই ভালো বল করেছে। লাইন-লেন্থ মেনে বল করেছে। এটা টেস্ট ক্রিকেট, তাই অর্জনটা বড়।
অধিনায়ক আরো বলেন, এরকম ম্যাচ জিততে পারলে এরচেয়ে বড় কিছু চাওয়ার থাকতে পারে না। অধিনায়ক হিসেবে এরচেয়ে বড় ব্যবধান চাইতে পারেন না কখনও।
সান নিউজ/জেএইচ