ক্রীড়া প্রতিবেদক:
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের রেংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে থাকা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামী সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। করোনা পরবর্তী সময়ে লংকানরা টাইগারদের চেয়ে আগে অনুশীলন শুরু করলেও এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে রেংকিংয়ে পয়েন্ট বাড়াতে চান বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেইস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। সাথে টাইগার পেইসারদের ওপরও সিরিজে ভাল করার ব্যাপারে বিশ্বাস আছে তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে থাকা এই পেইস বোলিং কোচ কথা বলেন সান নিউজের সাথে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে দুটি ম্যাচ। একটি গোলাপি বলে ভারতের বিপক্ষে, অন্যটি পাকিস্তান সফরে। পিংক বলে একমাত্র টেস্ট এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট দুটোতেই হার টাইগারদের। করোনার কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট এখনো স্থগিত। এর মাঝেই বাংলাদেশের সামনে মিলেছে সুযোগ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন টেস্ট খেলার। রেংকিংয়ে অবশ্য ৮০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে তিন ধাপ এগিয়ে দ্বীপ দেশটি। করোনা আক্রান্ত কম থাকায় শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের আগে অনুশীলন শুরু করলেও সুযোগ কাজে লাগিয়ে রেংকিং পয়েন্ট বাড়িয়ে নিতে চান বতর্মানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে থাকা বাংলাদেশের পেইস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন।
তিনি বলেন, “করোনার কারণে অনেকদিন ধরে কেউ খেলার মধ্যে নেই। সবাই চাইবে ভাল খেলে ক্রিকেটে ফিরতে। শ্রীলঙ্কা সিরিজটা আমাদের সামনে সুযোগ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বোর্ডে কিছু পয়েন্ট যোগ করার। আমরা টেস্টে ভাল দল হয়ে উঠছি। এটা ঠিক শ্রীলঙ্কা আমাদের আগে অনুশীলন শুরু করেছে। তবে আমাদের ক্রিকেটাররাও তাদের প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছে। আর বাংলাদেশের কোচদের সাথেও ক্রিকেটারদের নিয়মিতই যোগাযোগ আছে। আশা করি শ্রীলঙ্কা গিয়েও প্রস্তুতিটা ভালভাবে নিয়েই আমরা ম্যাচে নামতে পারবো”।
উপমহাদেশীয় উইকেট হওয়ায় সিরিজে পেসারদের চেয়ে স্পিনারদের গুরুত্ব পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তারপর আবার করোনার বাধা কাটিয়ে ম্যাচের জন্য পেসারদের প্রস্তুত হওয়ারও ব্যাপার আছে। সবকিছু মিলিয়ে ম্যাচের জন্য কতোটুকু প্রস্তুত পেস বোলার পাবে বাংলাদেশ?
গিবসনের উত্তর, “পেসারদের আগে ফিটনেসে ফিরতে হবে। আর ম্যাচ ফিটনেস আসবে খেলতে পারলে। বাংলাদেশের পেসাররা এখন মাঠের অনুশীলন শুরু করেছে, যেখানে বলের পর বল করে গেলেই দ্রুত ফিটনেস পাওয়া সম্ভব। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর এখনো অনেক সময় আছে। আশা করি সেখানে গিয়ে আমরা বেশ কয়েকটা প্র্যাকটিস ম্যাচও খেলতে পারবো। আমারা বিশ্বাস প্রস্তুতি ম্যাচ, নেট সেশন মিলিয়ে পেসাররা নিজেদের তৈরি করে নিতে পারবে”।
টি-টোয়েন্টি খেলার কথা থাকলেও শ্রীলঙ্কায় এবারের বাংলাদেশ সফরে শুধুমাত্র তিন টেস্টই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।