ক্রীড়া প্রতিবেদক : সিরিজের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭৪ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ৪৬তম ওভারে ৫ উইকেটে ২৬১ রান ছিল টাইগারদের। কিন্তু সেখান থেকে আর ১৩ রান তুলতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় তামিম ইকবালের দল। ফলে পুজিটাও প্রত্যাশামতো হয়নি সফরকারীদের।
আরও পড়ুন : টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
রোববার (১৪ মে) চেমসফোর্ডে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে গেছে টাইগারদের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন তামিম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। মিরাজ করেন ৩৭। আর সমান ৩৫ রান করে আউট হন লিটন ও শান্ত।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে দেখেশুনে খেলতে শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদার। তবে টাইগারদের উদ্বোধনী জুটি টেকেনি বেশিক্ষণ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই বিদায় নেন রনি। ফেরার আগে করেন ১৪ বলে মাত্র ৪ রান। ফলে ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শুরুতেই রনি তালুকদারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ক্রিজে নেমেই পাল্টা আক্রমন শুরু করেন ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে সেই চাপ অনেকটাই কাটিয়ে ওঠেন তামিম-শান্ত জুটি। ৪৪ বলে ৪৯ রানের মারকুটে জুটি গড়েন তারা।
আরও পড়ুন : দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ
কিন্তু থিতু হয়েও উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন শান্ত। উইল ইয়ংকের বলটি খোঁচা মেরে স্লিপে ধরা পড়েছেন এই বাঁহাতি। ৩২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে শান্ত করেন ৩৫ রান। ৬৭ রানে পড়ে কাটা পড়ে টাইগারদের দ্বিতীয় উইকেট।
এরপর জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তাদের ৭৬ বলে ৬০ রানের জুটিটি ভাঙে লিটন আউট হলে। ম্যাকব্রিনের বলে মিডঅফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৯ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন লিটন।
এরপর ক্রিজে নামেন তাওহিদ হৃদয়। শুরুটা ভালো করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৬ বলে ১৩ করে ডকরেলের বলে বোল্ড হন এই ব্যাটার। ১৫৯ রানে ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা।
অনেকদিন ধরেই রান পাচ্ছিলেন নাম তামিম। শেষ ৯ ইনিংসে পাননি হাফসেঞ্চুরি। অবশেষে তামিমের সেই 'কুফা' কাটলো। পেলেন ফিফটির দেখা। দেখেশুনে খেলে ৬১ বলে নিজের ৫৬তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।
আরও পড়ুন : চ্যানেল খুলবে বিসিবি
এরপর বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই খেলছিলেন তামিম। কিন্তু ব্যক্তিগত ৬৯ রানে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক। তার উইকেটটিও নেন ডকরেল। ৮২ বলের ইনিংসে তামিম বাউন্ডারি হাঁকান ৬টি।
তামিম ইকবাল উইকেটে থাকা পর্যন্ত বেশ স্বস্তিতেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তিনি ফিফটি করে আউট হয়ে যাওয়ায় ফের চাপে পড়ে টাইগাররা। ১৮৬ রানে হারায় ৫ উইকেট।
মুশফিকুর রহিম আর মেহেদি হাসান মিরাজ মিলে সেই চাপ কাটিয়ে উঠেন। ৭২ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪৬তম ওভারে ম্যাকব্রিনকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মুশফিক, হাফসেঞ্চুরির কাছে এসে। ৫৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে মুশফিক হাঁকান তিনটি চার আর একটি ছক্কা।
আরও পড়ুন :ওয়ানডে দলে রদবদলের জায়গা নেই
পরের ওভারেই মেহেদি মিরাজকেও হারায় টাইগাররা। ৩৯ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৭ করে মার্ক এডায়ারের শিকার হন এই অলরাউন্ডার। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়া আগেই অলআউট হয় সফরকারীরা। তাতে স্কোর বোর্ডে জমা হয় ২৭৪ রান।
আইরিশ পেসার মার্ক এডায়ার ৪০ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। এছাড়া দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন ডকরেল ও ম্যাকব্রাইন। আর একটি উইকেট নিয়েছেন ইয়াং।
সান নিউজ/জেএইচ