স্পোর্টস ডেস্ক:
অসাধারণ এক নাটকীয় জয়ে ২৫ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে পিএসজি। বুধবার রাতে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আতালান্তাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা। যেখানে আতালান্তা লিড নিয়েছিল ম্যাচের ২৬ মিনিটে। পিএসজি দুটি গোল করে ৯০ ও ৯৩ মিনিটে।
ম্যাচের শুরুতেই লিড নিতে পারতো প্যারিস সেন্ট জার্মেইন পিএসজি। তবে নেইমার যে মাথার চুল ছেড়ার মতো এমন সুযোগ হারাবেন তা কেউ ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারেনি। ম্যাচের ৩ মিনিটে আতালান্তা গোললক্ষক স্পরতিয়েল্লোকে একা পেয়েও বল বাইরে পাঠান নেইমার।
এরপর পিএসজি অর্ধেই যেন ঘর বানায় ইতালিয়ান দল আতালান্তা। ম্যাচের ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই সময়ের মধ্যে দুটি দারুণ গোলের সুযোগ তৈরি করে দলটি। হেটবোরের হেডও যেমন দারুণ দক্ষতায় ফেরান পিএসজি গোলরক্ষক নাভাস তেমনি কালদারার হেড থেকে আসা বলটাকেও গোললাইন পেরুতে দেননি তিনি।
তবে ২৬ মিনিটে গিয়ে আর আতালান্তাকে আটকে রাখতে পারেননি নাভাস। মারিও পাসলিচের গোলে এগিয়ে যায় ইতালিয়ান সিরি আ-তে তিন নম্বর হওয়া দলটি।
ম্যাচে ফিরতে অবশ্য পিএসজি মরিয়া হয়ে ওঠে ৭০ মিনিটের পর থেকে। মাঝে বদলী হিসেবে মাঠে নামেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তিনি মাঠে নেমেও যেমন হারান গোলের সুযোগ তেমনি নেইমারও এদিন বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন আতালান্তা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোল করতে।
ম্যাচের ৯০ মিনিটে সমতা আনে পিএসজি। ডান দিক থেকে চুপো-মেটিংয়ের পাস পেলেও সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলেন না নেইমার। ছোট ডি-তে বল পাঠান তিনি। সুযোগ কাজে লাগান মার্কিনিয়োস। ম্যাচে আসে সমতা।
তিন মিনিট পরই আসে জয়সূচক গোল। এমবাপ্পের বাড়ানো বলকে দারুণ ফিনিশিং দেন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড চুপো-মেটিং। ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে ১৯৯৫ সালের পর আবারো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে নাম লেখায় পিএসজি।