স্পোর্টস রিপোর্টার : টাইগার ব্যাটারদের নৈপুণ্যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। দেশের হয়ে মুশফিকুর রহিমের দ্রুততম সেঞ্চুুরি আর লিটন শান্তর অর্ধশতকে ওডিআই ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করেছে লাল সবুজের দল। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান।
আরও পড়ুন : বান্দরবানে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ১০
সোমবার (২০ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। এদিন একাদশে আসে এক পরিবর্তন। মুস্তাফিজের পরিবর্তে দলে ফিরেছেন পেসার হাসান মাহমুদ।
এদিন শুরু থেকেই বেশ দেখেশুনেই খেলতে থাকেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। তবে দলীয় ৪২ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক তামিম। রান আউটে কাটায় পড়ে নিজের ৩৪তম জন্মদিন রাঙাতে পারেননি তামিম। ফেরার আগে তিনি করেন ৩১ বল থেকে ২৩ রান। অবশ্য তার আগেই তামিম ছুঁয়েছেন নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক।
এরপর দলের হাল ধরেন লিটন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটন তুলে নেন ওয়ানডেতে নিজের নবম অর্ধশতক। সাবলীল ব্যাটিংয়ে লিটন এবং শান্ত দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন বড় সংগ্রহের দিকে।
এদিন লিটন দাসও পেরিয়েছেন ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত ২ হাজার রানের মাইলফলক। একইসঙ্গে অর্ধশতক করে লিটন সেঞ্চুরির আভাস দিচ্ছিলেন। তবে কার্টিস ক্যাম্পারের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৭০ রান করে।
আরও পড়ুন : বানৌজা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটির উদ্বোধন
লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। শুরু থেকে হাত খুলে খেলার চেষ্টা করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। মাত্র ১৭ রান করে ক্যাচ আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন টাইগার অলরাউন্ডার। তবে অন্যপ্রান্তে থাকা শান্ত তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক।
এরপর দেখেশুনে খেলতে থাকলেও ৭৩ রানে কাটা পড়েন তিনি। তার বিদায়ে বাংলাদেশের বড় রানের সংগ্রহের আশায় শঙ্কা জাগে। তবে সেই চাপ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও মুশফিক। এই দুই ব্যাটার মিলে বেশ জোরেশোরে না তুলতে থাকেন। দুই ব্যাটারই খেলতে থাকেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। তারা আইরিশ বোলারদের পিটিয়ে নাভিশ্বাস তুলেন। মাত্র ৩৩ বলে মুশফিক তুলে নেন ৪৪তম অর্ধশতক।
অন্য প্রান্তে মারমুখী ভাব নিয়ে খেলতে থাকা তাওহীদ অভিষেক ম্যাচের ন্যায় এই ম্যাচেও সফল। সেই ম্যাচে মাত্র ৮ রানের জন্য তিনি সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। তার সেই আক্ষেপে আরেকটু যোগ হলো এই ম্যাচে। কারণ অর্ধশতক থেকে ১ রান দূরে থাকা অবস্থায় হৃদয়কে থামিয়ে দেন আইরিশ পেসার মার্ক অ্যাডায়ার। ফলে তরুণ এই ব্যাটার ৩৪ বলে ৪৯ রান করে মাঠ ছাড়েন।
তবে মুশফিক তখনো খেলতে থাকেন হাত খুলে। একের পর এক বলকে বরেন বাউন্ডারি ছাড়া। সেঞ্চুরির তৃষ্ণা নিয়ে তিনি সঙ্গী বানান নতুন ব্যাটার ইয়াসির আলীকে। তবে রাব্বি তার যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ। ৭ বলে ৭ রান করে তিনি ফেরেন গ্রাহাম হিউমের বলে।
আরও পড়ুন : নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
রাব্বি ফিরলেও মুশফিক তুলে নেন ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি। ৬০ বলে ১০০ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। এর আগে সাকিব ছিলেন বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক, তবে সেই রেকর্ড আজ টপকে গেলেন মুশফিক।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন গ্রাহাম হিউম। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন মার্ক অ্যাডায়ার ও কার্টিস ক্যাম্পার।
সান নিউজ/জেএইচ