ক্রীড়া প্রতিবেদক:
আগের ম্যাচের চেয়েও খারাপ হলো ব্যাটিং। বোলিংয়েও হলো অবনতি। দুই বিভাগে বাজে খেলার প্রতিফলন পড়ল ফলাফলে, ৯ উইকেটে হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ।
১৩৭ রানের লক্ষ্য ২০ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ হাফিজ ও বাবর আজমের জুটি ভাঙতেই পারেনি সফরকারীরা। দ্বিতীয় উইকেটে ১৩১ রানের জুটি গড়েন দুজন। তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। প্রথম টি-টোয়েন্টি তারা জিতেছিল ৫ উইকেটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৬/৬ (তামিম ৬৫, নাঈম ০, মেহেদি ৯, লিটন ৮, আফিফ ২১, মাহমুদউল্লাহ ১২, সৌম্য ৫*, আমিনুল ৮*; ইমাদ ২-০-১৬-০, আফ্রিদি ৪-০-২২-১, হাসনাইন ৪-০-২০-২, রউফ ৪-০-২৭-১, শাদাব ৩-০-২৮-১, মালিক ২-০-৯-০, ইফতিখার ১-০-১২-০)
পাকিস্তান: ১৬.৪ ওভারে ১৩৭-১ / (বাবর ৬৬*, এহসান ০, হাফিজ ৬৭*; মেহেদি ৪-০-২৮-০, শফিউল ৩-০-২৭-১, আল আমিন ৩-০-১৭-০, মুস্তাফিজ ৩-০-২৯-০, আমিনুল ২-০-১৬-০, আফিফ ১-০-১৬-০, মাহমুদউল্লাহ ০.৪-০-৩-০)
ফল: পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী
হাফিজের পর বাবরের ফিফটি
পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যানকে থামানোর পথ পাচ্ছেন না বাংলাদেশের বোলাররা। মোহাম্মদ হাফিজের পর ফিফটি তুলে নিয়েছেন বাবর আজম।
মুস্তাফিজুর রহমানকে ছক্কা হাঁকানোর পর সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি স্পর্শ করেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
এই ওভারেই লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান হাফিজ। তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে দ্বিতীয় উইকেট জুটির রান।
১৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ১০৮/১। দুই ব্যাটসম্যানই খেলছেন ৫২ রান নিয়ে।
হাফিজের ফিফটি
বাবার আজমের সঙ্গে দারুণ জুটিতে দলকে জয়ের পথে রেখেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
শফিউল ইসলামকে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকানোর পর সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন হাফিজ। ১৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৯৬/১। হাফিজ ৫০ ও বাবর ৪৩ রানে ব্যাট করছেন।
শুরুতেই শফিউলের আঘাত
আগের ম্যাচে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে পেয়েছিলেন উইকেট। এবার পেলেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। চতুর্থ বলে নিলেন উইকেট। শূন্য রানে এহসান আলিকে ফিরিয়ে দিলেন শফিউল ইসলাম।
ডানহাতি পেসারকে ছক্কায় উড়িয়ে রানের খাতা খুলতে চেয়েছিলেন এহসান। টাইমিং করতে পারেননি। মিড অফে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান মাহমুদউল্লাহ।
২ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৭/১। ক্রিজে বাবর আজমের সঙ্গী মোহাম্মদ হাফিজ।
তামিমের ফিফটির পরও বড় হলো না সংগ্রহ
উইকেট আগের ম্যাচের মতোই মন্থর। পেসাররা বাড়তি বাউন্স পেলেন মাঝে-মধ্যে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টাইমিং পেতে সংগ্রাম করলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান। লম্বা সময় ক্রিজে থেকে ফিফটি করেছেন দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান কিন্তু সেভাবে কখনও গতি পায়নি ইনিংস।
২০ ওভারে ৬ উইকেটে রানে থেমেছে বাংলাদেশ। বিশের ঘর ছাড়াতে পেরেছেন কেবল তামিম। সাত চার ও এক ছক্কায় ৫৩ বলে করেছেন ৬৫।
টানা দুই ম্যাচে লাহোরে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড ভাঙল বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের ১৪১ ছিল লাহোরে প্রথম ইনিংসে কোনো দলের সর্বনিম্ন। এবার রান হলো এর চেয়েও কম।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৬/৬ (তামিম ৬৫, নাঈম ০, মেহেদি ৯, লিটন ৮, আফিফ ২১, মাহমুদউল্লাহ ১২, সৌম্য ৫*, আমিনুল ৮*; ইমাদ ২-০-১৬-০, আফ্রিদি ৪-০-২২-১, হাসনাইন ৪-০-২০-২, রউফ ৪-০-২৭-১, শাদাব ৩-০-২৮-১, মালিক ২-০-৯-০, ইফতিখার ১-০-১২-০)
বোল্ড মাহমুদউল্লাহ
আগের ম্যাচে শেষ ওভারে হারিস রউফের ওপর চড়াও হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এই ম্যাচেও একই পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশ অধিনায়কের। এবার পারেননি, তেড়েফুড়ে মারতে গিয়ে ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। ১২ বলে ১ চারে ১২ রান করেছেন তিনি।
আবারও রান আউট তামিম
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। ইমাদ ওয়াসিমের সরাসরি থ্রোয়ে শেষ হয়েছে বাঁহাতি এই ওপেনারের ইনিংস।
হারিস রউফের বল অফ খেলেই রান নিতে ছুটেন দুই ব্যাটসম্যান। মাঝপথে একটু মন্থর হয়ে পড়েন তামিম। ইমাদের সরাসরি থ্রো ফেলে দেয় ফেলস, তখনও বেশ দূরে ছিলেন তিনি। ভাঙে ৩১ রানের জুটি।
৫৩ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৬৫ রান করেন তামিম। ১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১৯/৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী সৌম্য সরকার।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তামিমের ফিফটি
বল সহজে ব্যাটে আসছে না, অন্য প্রান্ত থেকে মিলছে না খুব একটা সহায়তা। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন তামিম ইকবাল। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৪৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
শাদাব খানের বলে কাভার দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটিতে যান তামিম। পরে টানা দুই বলে তুলে নেন বাউন্ডারি।
১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০২/৪। তামিম ৪৮ বলে ৫৯ ও মাহমুদউল্লাহ ২ বলে ২ রানে ব্যাট করছেন।