ক্রীড়া প্রতিবেদক:
৩১ সদস্যের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮ ফুটবলারই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইয়ের জন্য ক্যাম্প শুরু করা নিয়েই এখন শংকায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
৮ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেজন্য দল ঘোষণা করেছিল বাফুফে। এর মধ্যে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও ফিনল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশী তারিক আজিজ দেশের বাইরে। বাকি তিন ফুটবলার জনি, মতিন মিয়া ও ফাহাদ ইনজুরি আক্রান্ত।
তাই ফুটবলারদের তিন ভাগে ক্যাম্পের জন্য ডাকা হয়। শর্ত দেয়া হয় ব্যাক্তিগতভাবে যেমন ফুটবলারদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে তেমনি বাফুফেও তাদের উদ্যোগে খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা করাবে।
এখানেই ঘটে বিপত্তি। খেলোয়াড়রা নেগেটিভ ফলাফল নিয়ে ক্যাম্পে আসে। এরপর বাফুফে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো করোনা পরীক্ষা করায় খেলোয়াড়দের।
কিন্তু সেখানে প্রথমদিন (৫ আগস্ট) তিন ফুটবলার করোনা পজিটিভ হন। অবশ্য বিশ্বনাথ ঘোষ তার ব্যাক্তিগত পরীক্ষাতেই পজিটিভ হওয়ায় ক্যাম্পে যোগ দেননি।
দ্বিতীয়দিন (৬ আগস্ট) মোট সাত ফুটবলার করোনা পজিটিভ হন। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত খেলোয়াড়ের সংখ্যা দাঁড়ায় এগারোতে।
বাকি খেলোয়াড়দের করোনা নেগেটিভ মনে করে বাফুফে তাদের আবাসিক ক্যাম্পে গাজীপুরের সারা রিসোর্টে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু আজ (৭ আগস্ট) বিএসএমএমইউ থেকে বাফুফেকে জানানো হয় খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের মধ্যে আরো আটজন করোনা পজিটিভ।
অর্থাৎ এখন মোট ১৮ ফুটবলার ও একজন কোচিং স্টাফ যিনি সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সার, তিনিও করোনা পজিটিভ।
করোনা পজিটিভ হওয়া সব খেলোয়াড়রা হলেন- বিশ্বনাথ ঘোষ, নাজমুল ইসলাম রাসেল, এম এস বাবলু, সুমন রেজা, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম (নতুন পজিটিভ), মানিক হোসেন মোল্লা (নতুন পজিটিভ), মানিক (নতুন পজিটিভ), আব্দুল্লা (নতুন পজিটিভ), ইয়াসিন আরাফাত (নতুন পজিটিভ), বিপলু আহমেদ (নতুন পজিটিভ), মাহবুবুর রহমান (নতুন পজিটিভ), আনিসুর রহমান জিকো, সুশান্ত ত্রিপুরা, রবিউল হাসান, শহিদুল আলম, সোহেল রানা, ইব্রাহিম, টুটুল হোসেন বাদশা।
বাকি সাত ফুটবলার সবুজ, তপু, মামুনুল, রানা, রায়হান, ইয়াসিন, জীবন ও ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রূপুর করোনা পরীক্ষা শনিবার করা হবে।
করোনা আক্রান্ত খেলোয়াড়দের সংখ্যা এতো বেশি হলেও তা নিয়ে এখনই দুশ্চিন্তা করতে নারাজ ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রূপু। সান নিউজকে তিনি বলেন, মূল অনুশীলনের আগে যে দুই সপ্তাহ সময় আছে সেটাই করোনা থেকে সেরে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত। আর খেলোয়াড়রা যেহেতু শারীরিকভাবে শক্তিশালী সেহেতু অন্য কোন উপসর্গ না থাকলে এই রোগ থেকে তারা দ্রুত সেরে উঠবেন।
রূপুর বিশ্বাসের জায়গা হলো, যেসব খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কোন উপসর্গ নেই।
তবে তার চিন্তার জায়গা হলো, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের এমন করোনা আক্রান্তের খবরে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ না পিছিয়ে দেয় ফিফা।
তবে নতুন করে সোমবার আবারো ফুটবলারদের করোনা পরীক্ষা করানোর সম্ভাবনা আছে। এবার বেসরকারী ব্যাবস্থাপনায় দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করিয়ে খেলোয়াড়দের ফলাফলের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চায় বাফুফে।
সব বিষয় নিয়েই শনিবার সভায় বসার কথা আছে ফেডারেশনের জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির।