সান নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচে শামিম হোসেন পাটোয়ারির ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে ফরচুন বরিশালকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। এই জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ জিতে ইতিহাস গড়লেন ইমরানুর
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বরিশালকে প্রথমে ব্যটিংয়ে পাঠান রংপুরের অধিনায়ক সোহান।
আগে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ ঝড়ে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে শামীম পাটোয়ারীর ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৪ উইকেট ও ৩ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় রংপুর রাইডার্স। পাশাপাশি নিশ্চিত করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। এগিয়ে যায় শিরোপার আরো কাছে।
রান তাড়া করতে নেমে স্কোর বোর্ডে রান যোগ হওয়ার আগেই বিদায় নেন নাঈম শেখে। সাকিব আল হাসানের করা ইনিংসের পঞ্চম বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে প্রিটোরিয়াসের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। প্রথম ওভার মেইডেন ও ১টি উইকেট নেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব।
আরও পড়ুন: বর্ষসেরা তালিকায় মেসি-এমবাপে-বেনজেমা
এরপর রনি তালুকদারের সঙ্গে এসে জুটি বাঁধেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। প্রথম ওভারটা দেখে পরের ওভার থেকেই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করেন শামীম। চতুর্থ ওভারে প্রিটোরিয়াসকে দুই ছক্কা ও এক চার মেরে ১৭ রান তোলেন।
পরের ওভারে সাকিবকে এক চার ও এক ছক্কায় উড়িয়ে ১৫ রান তোলেন রনি। এরপর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে মিরাজকে পেয়ে এক চার ও এক ছক্কায় ১৫ রান তোলেন শামীম। তাতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে ১ উইকেটে রংপুরের রান দাঁড়ায় ৫৫।
কামরুল ইসলাম রাব্বীর করা ৮ম ওভারে আউট হন রনি তালুকদার। তিনি ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। চারে নামা নুরুল হাসান সোহানও শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন।
আরও পড়ুন: ১৭৮ রানের টার্গেট দিল কুমিল্লা
১১তম ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন নুরুল। তিনি করেন ১৩ বলে ৩ চারে ১৮ রান। এরপর ক্রিজে নামেন নিকোলাস পুরান। শামীম ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় অর্ধশতক পূরণ করেন ৩৬ বলে। ১৫তম ওভারে পুরান ৮ বলে ৫ রান করে আউট হন।
১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে খালেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সেই প্রিটোরিয়াসের হাতে ক্যাচ দেন শামিম। তবে যাওয়ার আগে খেলেন ৫১ বলে ৪টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৭১ রানের দারুণ ইনিংস। তার এই ইনিংসে জয়ের পথ অনেকটাই সুগম হয় রংপুরের।
শামীমের পর ডোয়াইন ব্রাভোও দ্রুত ফিরেন ৩ বলে ২ রান করে। জয়ের বাকি কাজ সারেন দাসুন শানাকা ও মেহেদী হাসান। তারা দুজন ১৯তম ওভারে ১১ রান তুললে জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার হয় ৮ রান।
আরও পড়ুন: ফের সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
কামরুল ইসলামের করা প্রথম বলে ১ রান নিয়ে মেহেদীকে স্ট্রাইক দেন শানাকা। মেহেদী পর পর দুই বলে দুই বাউন্ডার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। নিশ্চিত করেন কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল খেলার সুযোগ।
বরিশালের হয়ে সমান সংখ্যক ২টি করে উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান, কামরুল ইসলাম ও খালিদ আহমেদ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৭০ রানের ফাইটিং স্কোর করে বরিশাল। আন্দ্রে ফ্লেচারকে ও মেহেদী হাসান মিরাজের ইনিংসের শুরুটা ছিল দারুন। ৫.৫ ওভারে ৪৬ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার।
আরও পড়ুন: আবারও সাম্বা ডি'অর’ জিতলেন নেইমার
ফ্লেচার আউট হন ১৬ বলে ১২ রান করে। এরপর মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। তাতে ১৩.৩ ওভারে বরিশালের রান দাড়ায় ১১৫। দলীয় এই রানে শানাকার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহ করেন ২১ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান।
১২৬ রানের মাথায় মাত্র ৪৮ বলে ৯টি চার ও ১ ছক্কায় ৬৯ রান করে বিদায় নেন মিরাজ। এরপর করিম জানাত ও ভানুকা রাজাপাকসে ৪৪ রানের জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহকে ১৭০ পর্যন্ত নিয়ে যান। জানাত ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ বলে ৩৩ এবং রাজাপাকসে ১০ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ১৭ রান করেন।
রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শানাকা। ১ টি উইকেট নেন রাকিবুল হাসান।
সান নিউজ/জেএইচ/এনকে