ক্রীড়া প্রতিবেদক:
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ক্যাম্পে ১২ খেলোয়াড় যোগ দেবেন ৫ আগস্ট।
এরপর ৬ ও ৭ আগস্ট মিলিয়ে তিন দিনে ৩১ ফুটবলার ক্যাম্পের জন্য প্রথমে বাফুফে ভবনে রিপোর্ট করবেন। সকালেই সেখানে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। সন্ধ্যায় করোনা রিপোর্ট পাওয়ার পর নেগেটিভ রেজাল্ট আসা ফুটবলারদের নিয়ে যাওয়া হবে আবাসিক ক্যাম্পে। গাজীপুরের সারা রিসোর্টে হবে এবার ফুটবলারদের আবাসিক ক্যাম্প।
৫ আগস্ট ক্যাম্পে যোগ দেয়ার জন্য যেসব খেলোয়াড়দের ডাকা হয়েছে তারা হলেন- পাপ্পু হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ, নাজমুল ইসলাম রাসেল, এম এস বাবলু, সুমন রেজা, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মানিক হোসেন মোল্লা, মঞ্জুরুল ইসলাম মানিক, আব্দুল্লাহ, ইয়াসিন আরাফাত, বিপলু আহমেদ ও মাহবুবুর রহমান।
৬ আগস্ট ক্যাম্পে আসবেন- আনিসুর রহমান, সুশান্ত ত্রিপুরা, রবিউল হাসান, আরিফুর রহমান, শহিদুল আলম, সাদ উদ্দিন, সোহেল রানা, ইব্রাহিম, রহমত মিয়া, রিয়াদুল হাসান, রকিব হোসেন ও টুটুল হোসেন বাদশা।
৭ আগস্ট ক্যাম্পে যোগ দিবেন- তৌহিদুল আলম সবুজ, তপু বর্মন, মামুনুল ইসলাম মামুন, আশরাফুল ইসলাম রানা, রায়হান হাসান, ইয়াসিন খান, নাবিব নেওয়াজ জীবন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে অধিনায়ক জামাল ভূইয়া ও ফিনল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশী ফুটবলার তারিক কাজী কবে ক্যাম্পে যোগ দিবেন তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এছাড়া তিন ফুটবলার মাসুক মিয়া জনি, মতিন মিয়া ও আতিকুর রহমান ফাহাদ বসুন্ধরা কিংস ক্লাব থেকে ক্যাম্পে যোগ দেয়ার অনুমতি পাননি। ইনজুরিতে আছেন এই তিন খেলোয়াড়। ক্লাবের তত্ত্বাবধানে থেকেই চিকিৎসা চলছে তাদের।
এই পাঁচ ফুটবলার প্রসঙ্গে হেড কোচ জেমি ডে বলেন মাসুক, মতিন ও ফাহাদের বিষয়ে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনজনই ইনজুরিতে আক্রান্ত। আর জামাল ও তারিকের পক্ষে কবে নাগাদ বাংলাদেশে আসা সম্ভব তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে এই দুই ফুটবলারের সঙ্গে জেমির নিয়মিত যোগাযোগ আছে বলে জানান তিনি।
জেমি সহ কোচিং প্যানেলের অন্যান্য সদস্যরা ২০ আগস্টের পর বাংলাদেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে ফেডারেশন।
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ৮ অক্টোবর সিলেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ১২ অক্টোবর দোহায় কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ আছে লাল-সবুজদের। এরপর ১২ নভেম্বর ভারত ও ১৭ নভেম্বর ওমানের বিপক্ষে হোম ম্যাচ বাংলাদেশের।
সান নিউজ