স্পোর্টস ডেস্ক : মাশরাফি বিন মুর্তজা জাতীয় দলের হয়ে ২০২০ সালে সর্বশেষ খেলেছিলেন। বর্তমানে জাতীয় দলে না খেললেও দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে খেলে যাচ্ছেন। মাশরাফিকে খেলা বাদ দিয়ে ক্রিকেট বোর্ড কিংবা জাতীয় দলের কোনো দায়িত্বে দেখতে চান অনেক ভক্ত।
আরও পড়ুন : টিভিতে আজকের খেলা
ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই মাঠের ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে গেলে। তাই মাশরাফিও পারছেন না নির্বাচনে যেতে। তবে ২০২১ সালে মাশরাফি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করতে তিনি আগ্রহী।
অবশেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কথা বললেন এ বিষয়ে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পাপন বলেন, মাশরাফির জন্য সবসময় খোলা বোর্ডের দুয়ার।
আরও পড়ুন : মেসিদের আনতে দরকার ১০২ কোটি
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের ব্যস্ততার কথা তুলে ধরে পাপন বলেন, ‘মাশরাফিকে আমরাও চাই, কিন্তু এখন ও আসবে কোথায়? একটা কথা ভুলে গেলে হবে না ও একজন সম্মানিত সংসদ সদস্য। তাই আমি ওকে যেকোনো জায়গা দিলে হবে না।
তিনি আরও বলেন, ওর তো নিজের একটা ব্যাপার আছে। ও সময় দিতে পারবে কিনা। কারণ ও তো এখন বেশ সময় দেয় রাজনীতিতে। আমি যদি বলি তুমি বয়সভিত্তিক পর্যায় চালাও, এইচপির হেড হও, টিম ম্যানেজার হয়ে টিমের সঙ্গে যাও সেটাও হবে না। এগুলো আগে যত সহজ ছিল তেমন নেই। এখন যত সময় যাচ্ছে তত কঠিন হচ্ছে।
আরও পড়ুন : দৈনিক দুই ডজন ডিম খান পাকিস্তানি পেসার!
মাশরাফিকে কোনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেয়া হবে কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছিল পাপনের কাছে। বোর্ড সভাপতি কদিন আগের উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমি তাকে (মাশরাফি) পরশুদিনই বললাম, আমি চাই তুমি আসো।
এখন তুমি চিন্তা করে দেখো কোনটা করলে তোমার জন্য সম্ভব বা তুমি আগ্রহী কিনা। এর চেয়ে বেশি আর কি বলব। এখন আপনারা বলতে চাচ্ছেন আমি কেন লিখিত দিলাম না। কিসের লিখিত দিব? এভাবে তো লিখিত দেয়া যায় না।’
আরও পড়ুন : বিসিবির সভাপতি হতে চাই
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে সাকিব আল হাসান বলেন, বিপিএলের সিইও‘র দায়িত্ব পেলে এক থেকে দুই মাসেই সব বদলে দিতে পারব। তার এমন বক্তব্যের পর শুরু হয় নানা বিতর্ক।
সান নিউজ/জেএইচ/এইচএন