স্পোর্টস ডেস্ক: চট্টগ্রাম টেস্টে বড় লিড নিয়েছে ভারত। লোকেশ রাহুলের দল জয়ের পথটা করে নিয়েছে। শুক্রবার টেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে ব্যাট করতে নামে তারা। ২ উইকেটে ২৫৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। সব মিলিয়ে লিড ৫১২ রানের।
আরও পড়ুন: মহান বিজয় দিবস আজ
এর আগে ১ম ইনিংসে ভারত থামে ৪০৪ রানে। জবাব দিতে নেমে আগের দিনই পথ হারায় সাকিব আল হাসানের দল। এরপর শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ দল ১ম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হয়। ফলোঅনে পড়ে টাইগাররা। কিন্তু ভারত ফলোঅন না করিয়ে নিজেরাই নামে ব্যাটিংয়ে।
তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ১১০ রান করে ফিরে যান এই ওপেনার শুভমান গিল। এরপরই মূলত ব্যাট হাতে টাইগার বোলারদের ওপর বিধ্বংসী হয়ে উঠেন চেতেশ্বর পূজারা। ব্যাট হাতে রীতিমত মিরাজ-তাইজুলদের নাভিশ্বাস ছুটাতে থাকেন পূজারা।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স শিবিরে দুঃসংবাদ!
১৩০ বলে ক্যারিয়ারের দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন পূজারা। টপ অর্ডার এই ব্যাটারের ১৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি এটি। সেঞ্চুরি শটে পূজারার রান দাঁড়ায় ১০২*, এরপরই ইনিংস ঘোষণা করে ভারতীয় দল। অন্যপ্রান্তে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি।
ভারতীয় স্পিনার কুলদিপ যাদব যেখানে টপাটপ উইকেট তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের, সেখানে টাইগার স্পিনাররা যেন বলই ঘূরাতে সক্ষম হচ্ছেন না। খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ কোনো প্রভাবই বিস্তার করতে পারেননি। প্রথম সেশনের অধিকাংশ সময় এবং দ্বিতীয় সেশনের পুরোটায় ৪৪ ওভার বল করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: কোনো আত্মদানই বৃথা যায় না
এরমধ্যে একবারও বল হাতে নিতে পারেননি সাকিব আল হাসান। প্রথম ইনিংসেও কেবল ১২ ওভার বল করেছিলেন অধিনায়ক। স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ গতকাল বলেছিলেন, সাকিবের কাঁধে ব্যথা আছে। এ কারণে তিনি বোলিং করতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে বল করবেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও পর্যন্ত বল হাতে নিতে পারেননি তিনি।
উল্টো, ইয়াসির আলি ৫টি এবং লিটন দাসকে দিয়ে ২টি ওভার বোলিং করিয়েছেন সাকিব। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। লোকেশ রাহুলছাড়া কোনো উইকেট পড়েনি ভারতের।
আরও পড়ুন: ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১৬
সাগরিকার এই টেস্ট জিততে বাংলাদেশকে ভাঙতে হবে অতীতের সব রেকর্ড। এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২১৭ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন খালেদ আহমেদ এবং তাইজুলল ইসলাম।
সান নিউজ/এমএ/এমআর