স্পোর্টস ডেস্ক: মরুর বুকে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় ছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেই দলকে মেসি একা হাতে টেনে নিয়ে গেলেন বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চে।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে বিদায় করে স্বপ্নের ফাইনালে উঠে গেল আর্জেন্টিনা।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে অ্যানহেল ডি মারিয়াকে ছাড়াই মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। এছাড়াও শুরুর একাদশের দুই খেলোয়াড় কার্ডজনিত কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি। তাই ফর্মেশনে পরিবর্তন আনায় খুব একটা পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হয়নি আর্জেন্টিনাকে।
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের সহযোগিতা করেছেন জামায়াত আমির
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে অ্যালভারেজের করা গোলের আগে ম্যাচের লিড এনে দেন অধিনায়ক মেসি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এই মহাতারকা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড অ্যালভারেজকেকে ফাউল করেন ক্রোয়েট গোলরক্ষক। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ডিফেন্ডার পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্ক করায় তাকেও একটি কার্ড দেন। ক্রোয়েট গোলরক্ষক ব্রাজিলের বিপক্ষে পেনাল্টি শ্যুটআউটে শট রুখে দিলেও আজকের ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন।
পেনাল্টিতে গোল খাওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাচের চিত্র ছিল ভিন্ন। ক্রোয়েশিয়া দারুণ ভাবে খেলায় ছিল। বল পজেশন, আক্রমণ সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল। আর্জেন্টিনা কাউন্টার অ্যাটাকেই খেলার চেষ্টা করেছে। ত্রিশ মিনিটে বল পজেশন ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টির পরই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া; যারই ফল, পাঁচ মিনিট পর আরও এক গোল হজম!
আরও পড়ুন: রোজায় পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ
দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়া শুরুতে দুই জন খেলোয়াড় বদল করে। খেলোয়াড় বদল করেও ম্যাচের চিত্র বদলাতে পারেননি। এই অর্ধে মেসিদের নিয়ন্ত্রণ ছিল আরো বেশি। ৬৮ মিনিটে মেসির বাড়ানো দুর্দান্ত পাসে অ্যালভারেজ প্লেসিংয়ে গোল করেন৷ এই গোলের মাধ্যমে গত আসরে ০-৩ গোলে হারের মধুর প্রতিশোধও নেওয়া হয়ে যায়৷
ক্রোয়েশিয়ার তারকা ফুটবলার লুকা মদ্রিচকেও উঠিয়ে নেন কোচ দালিচ। ফলে ম্যাচের বাকি সময় ছিল শুধু আর্জেন্টিনার জয়ের অপেক্ষা। শেষে আকাশি-সাদাদের বিপদসীমায় বহুবার আঘাত হেনেছে ক্রোয়াটরা। তবে লাভ হয়নি, চোয়ালবদ্ধ রক্ষণে সব সামলেছেন নিকলাস অটামেন্ডিরা। যাতে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই আর্জেন্টিনা চলে যায় বিশ্বকাপের ফাইনালে।
সান নিউজ/এমআর