স্পোর্টস ডেস্ক:
করোনার কারণে স্থগিত থাকলেও আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মাঠে গড়াবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ম্যানেজার জেনারেল জিওফ অ্যালারডিস।
এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আইসিসি স্থগিত থাকা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলো কবে নাগাদ শুরু করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে। তবে যে সংস্থা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পেছানোর সিদ্ধান্তই নিয়েছে কেবল গত সপ্তাহে তারা কিভাবে দ্রুত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে, এই প্রশ্নের উত্তরে জিওফ বলেন, “টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিষয়টি আলাদা। এখানে টিভি রাইটস থেকে পৃষ্ঠপোষক অনেক বিষয় জড়িত। বিশেষ করে অনেকগুলো দেশকে একসাথে রাখা যে কোন আয়োজকের পক্ষেই চিন্তার বিষয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যেহেতু বাই লেটারালে ভিত্তিতে হয় সেক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোয় করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এসব ম্যাচ শুরু করা যেতে পারে”।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে স্থগিত হওয়া ম্যাচগুলোর তালিকায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ। এই চ্যাম্পিয়নশিপের আওতায় থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্ট, অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ পিছিয়েছে বাংলাদেশের। এছাড়া শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজও পেছানো হয়েছে।
জিওফ বলেন, “করোনায় সব ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মাঠে ক্রিকেট ফিরেছে। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে, যেখানে জিতেছে ইংল্যান্ড। সিরিজটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আওতায় ছিল। আমরা সব সদস্য দেশগুলোর কাছেই অনুরোধ করেছি দ্বিপাক্ষিক নতুন কোন সিরিজ আয়োজনের চিন্তা করার আগে যেসব ম্যাচ স্থগিত রয়েছে সেগুলো যাতে আগে মাঠে গড়ানো যেতে পারে সে ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ যাতে নেয়”।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোন পয়েন্ট পায়নি। ২ ম্যাচে শূণ্য পয়েন্ট টাইগারদের। দক্ষিণ আফ্রিকা ২ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের ওপরে আট নম্বরে আছে। শীর্ষে থাকা ভারতের ৪ ম্যাচে সংগ্রহ ৩৬০ পয়েন্ট। অস্ট্রেলিয়া দুই নম্বরে আছে ২৯৬ পয়েন্ট নিয়ে। ইংল্যান্ড তিনে আছে ২২৬ পয়েন্ট নিয়ে।
সান নিউজ