বিনোদন ডেস্ক : আসন্ন কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ নিয়ে পৃথিবীজুড়ে চলছে চরম উত্তেজনা। এই মহাকাব্যের অংশ হতে সবাই মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও নেই পিছিয়ে। তাতে নতুন মাত্রা যোগ করছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা।
আরও পড়ুন : অবশেষে ঢাকায় নোরা ফাতেহি
ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে পছন্দ-ভালোবাসার দল ও খেলোয়ার নিয়েও চলছে ভিন্ন উন্মাদনা এবং ভালোবাসার অবেগ বিতরণ। দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে তারও আবেগ শেয়ার করেছেন।
চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম জানান, আমার পছন্দের দল ব্রাজিল। তবে মেসিকেও ভালো লাগে। ফুটবল নিয়ে বলতে গেলে অনেক স্মৃতি রয়েছে। এর মধ্যে ভালো বা খারাপ স্মৃতিও রয়েছে। এটা খুবই স্বাভাবিক, প্রিয় দল হেরে গেলে মন খারাপ হবেই। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ স্মৃতি হলো ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ।
তিনি জানান, ওই ম্যাচে ব্রাজিল ৭ গোল খেয়েছিল। আমার মনে হয়, প্রতিটি ব্রাজিল-ভক্তের মন সেদিন ভারাক্রান্ত হয়েছিল। সত্যি বলতে আমি নিজেও সেদিন অনেক কেঁদেছি।
আরও পড়ুন : বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা!
এ গুণী অভিনেত্রী জানান, বাসায় আমরা খুব আগ্রহ নিয়ে খেলা দেখতে বসেছিলাম। প্রিয় দলের খেলা; বাঁচা-মরার লড়াই! জার্মানির বিপক্ষে সেদিন জিতলেই ফাইনাল। এ কারণে হাতে কোনো কাজ রাখিনি। বলা যেতে পারে প্রস্তুতি নিয়েই খেলা দেখতে বসেছিলাম।
মিম আরও জানান, আমার বোন ছিল আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। ফলে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। ম্যাচটা ছিল ব্রাজিলের নিজেদের মাটিতে। ভেবেছিলাম ব্রাজিল বেশ ভালোভাবেই জিতবে। ফলে বাজি ধরেছিলাম।
ও (বোন) জার্মানির পক্ষ নিলো। আমি আসলে এই ম্যাচ নিয়ে ‘ওভার কনফিডেন্ট’ ছিলাম। কিন্তু খেলা দেখতে বসে ঘটলো উল্টো ঘটনা! একটার পর একটা গোল খেতে লাগলো ব্রাজিল।
আমার বোনের আনন্দ তখন দেখে কে! সে আমাকে ইচ্ছেমতো পচাচ্ছিল। সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।
আরও পড়ুন : শ্রাবন্তীর সঙ্গে রোশান
তবে এবারের বিশ্বকাপ আমার জন্য বাড়তি আনন্দ নিয়ে এসেছে। কারণ আমার দল ভারি হয়েছে। আমার স্বামীও ব্রাজিলের সাপোর্টার। এবার ওর সঙ্গে খেলা দেখবো। ব্রাজিলের খেলা যখন থাকে চেষ্টা করি সব কাজ রেখে খেলা দেখার। কিন্তু সবসময় তো আর ম্যাচ উপভোগ্য হয় না, মাঝে মাঝে খেলা শেষে মন খারাপও হয়।
আগেই বলেছি, নেইমারের মতো মেসিকেও আমার ভালো লাগে। বিশেষ করে তার খেলা এবং তাকে দেখতেও ভালো লাগে! এ কারণে আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার হলেও মেসির ফ্যান।
আরেকটি বিষয় শেয়ার করতে চাই জানিয়ে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, মাঠে গিয়ে কখনও ফুটবল খেলা হয়নি। তবে এবার মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলেছি; এমনকি গোলও দিয়েছি! আপনারা জানেন ‘দামাল’ সিনেমাটি ফুটবল নিয়ে।
আরও পড়ুন : নোরা ফাতেহির অনুষ্ঠান: হুমকি দিয়ে কারাগারে রাজু
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ঘটনার সঙ্গে ফিকশনের আশ্রয় নিয়ে গড়ে উঠেছে সিনেমার গল্প। এই সিনেমার প্রচারণার জন্য একটি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়। সেখানে দামাল টিম অংশ নেয়। সেদিন দলের সঙ্গে আমিও ছিলাম।
খেলতে গিয়ে যেমন আনন্দ হচ্ছিল, আবার ভয়ও করছিল। সত্যি বলতে মাঠে অসহায় লাগছিল। সবাই যেভাবে দৌড়াচ্ছিল মনে হচ্ছিল এই বুঝি গায়ের উপর এসে পড়বে!
আরও পড়ুন : বিয়ের পিঁড়িতে তামান্না ভাটিয়া!
বল কন্ট্রোলে নিতে গেলে হয়তো পড়েই যাব- এসব ভাবছিলাম। আমি অনেকক্ষণ চেষ্টা করেছি বল কন্ট্রোলে নিতে। কিন্তু কিছুতেই পারছিলাম না।
পরে চিন্তা করলাম এভাবে হবে না। যখন ওরা সাইডে যাবে, তখন ওদের কাছ থেকে বল নিতে হবে। এরপর সুযোগের অপেক্ষা করছিলাম। ফাইনালি বল যখন পেলাম- ব্যস হাতে নিয়ে দৌড়। হাত দিয়ে সেদিন গোল দিয়েছিলাম।
সান নিউজ/এইচএন