স্পোর্টস ডেস্ক:
কেন ম্যানচেস্টার সিটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে সেই কারণ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত। ৯৩ পৃষ্ঠার একটি ডকুমেন্ট প্রকাশ করেছে সেই আদালত।
লাইসেন্সিং ও ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়মে ম্যানচেস্টার সিটি অনিয়ম করেছে এই প্রমাণে উয়েফা ম্যান সিটির ওপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত শুনানীতে এই নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দেয়।
ক্রীড়া আদালতের ডকুমেন্টে জানা যায়, এ বছরের ৯ মার্চ প্রিমিয়ার লিগের ৯ ক্লাব সিটিজেনদের নিষেধাজ্ঞা যাতে তুলে না নেয়া হয় সেজন্য আদালতকে একটি চিঠি দেয়। ক্লাবগুলো হলো- লিভারপুল, লেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, আর্সেনাল, বার্নলি, টটেনহাম, নিউক্যাসল ও উলভস।
কিন্তু সিটি কখনোই ইউরোপিয়ান ফুটবল থেকে তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আপিল করেনি। তাদের আত্মবিশ্বাস ছিল আদালত বিষয়টি বিবেচনার দিন তারা জিতবে। সিটির অভিযোগ ছিল প্রায় সাড়ে ৫ লাখ ইমেইল চুরির। যেখান থেকে ৬টি ইমেইলের ভিত্তিতে উয়েফা তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবে ক্রীড়া আদালত সেসব ইমেইলে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় উয়েফার নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে।
ক্রীড়া আদালতের বিবেচনা উয়েফা সিটির বিরুদ্ধে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ তুলেছে তাতে যথেষ্ট প্রমানের ঘাটতি ছিল। সিটির শুরু দোষ ছিল তারা উয়েফাকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে যথাযথ সহযোগিতা করেনি। তাই ক্রীড়া আদালত ম্যানচেস্টার সিটিকে ১০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করে।
সান নিউজ