বদরুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইস্তাম্বুলে বিস্ফোরণে নিহত ৬
রোববার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে এই ঘটনা ঘটেছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু জানান, রোববার বিকেলে জেলা স্কুল বড় মাঠে আজাদ ক্লাব বনাম জাগ্রত যুব সংঘের মাঝে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ৯০ মিনিটের খেলায় জাগ্রত যুব সংঘ দুই ও আজাদ ক্লাব এক গোল দেয়। খেলার সময় শেষ হলে রেফারি লস্ট টাইম দুই মিনিট সময় বাড়িয়ে দেয়। দুই মিনিটের মধ্যে আজাদ ক্লাব বল অফ সাইড থাকা অবস্থায় জাগ্রত যুব সংঘকে আরো একটি গোল দেয়। কিন্তু লাইসম্যান গোলের আগেই তা অফ সাইড দেয়। সেটিকে অফ সাইড মেনে নিতে পারেনি আজাদ ক্লাবের সমর্থকরা। এ ঘটনায় উত্তোজিত জনতা লাইসম্যানকে ঘিরে রাখে। এ সময় উৎসুক জনতা মাঠে প্রবেশ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হলে মাঠের বাইরে সংঘর্ষ কিছু লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।এ অবস্থায় খেলা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: শনাক্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে জাপান
স্থানীয়রা বেশ কয়েকজন আহতকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
একাধিক দর্শক জানান, খেলার মধ্যে হারজিত থাকবে। কিন্তু মারামারি হবে কেন? খেলার মধ্যে যেভাবে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তাতে বোঝার অবকাশ নেই যে এটা পরিকল্পিত। যদি পূর্ব পরিকল্পিত না হয় তাহলে মুহুর্তের মধ্যে কিভাবে এতো দেশীয় অস্ত্র আসলো কিভাবে?
আরও পড়ুন: এক যুগ পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, শহরের দুটি ক্লাবের মাঝে খেলার এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
সান নিউজ/এমআর