স্পোর্টস ডেস্ক : বিবর্ণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহটা বড় হলো না। শুরু থেকে বাবর আজমদের চাপে রাখা ইংল্যান্ড মাঝে কিছুটা খেই হারালেও পরে ঠিকই উইকেট তুলে নিয়েছে।
আরও পড়ুন : টস হেরে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান
ফলে প্রত্যাশামতো পাকিস্তানের পুঁজিটা বাড়েনি। ৮ উইকেটে ১৩৭ রানেই থেমেছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন হতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১৩৮।
রোববার (১২ নভেম্বর) মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার।
পাকিস্তানি দুই ওপেনার বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান দেখেশুনে শুরু করেন। পঞ্চম ওভারে এসে দলীয় ২৯ রানের মাথায় এই জুটিটি ভাঙে। স্যাম ক্যারানের বেরিয়ে যাওয়া বল খেলতে গিয়ে রিজওয়ান ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হন (১৪ বলে ১৫)।
আরও পড়ুন : আম্পায়ারদের নাম ঘোষণা, হতাশ সমর্থকরা
এতে করে টুর্নামেন্টে ১১ উইকেট নিয়ে ইংলিশদের ইতিহাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার কীর্তি গড়েন ক্যারান।
শুরু থেকেই মোহাম্মদ হারিস উইকেটে এসে স্বস্তিতে ছিলেন না। মারকুটে ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করলেও বেশ কয়েকবার পরাস্ত হন তিনি। অষ্টম ওভারে আদিল রশিদকে বোলিংয়ে আনেন ইংলিশ দলপতি জস বাটলার। প্রথম বলেই তাকে তুলে মারতে গিয়েছিলেন হারিস, ক্যাচ হয়ে যান ১২ বলে ৮ করে।
তবে দায়িত্ব নিয়ে বাবর আজম খেলছিলেন। ওপেনিং থেকে ধরে খেলতে থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক তৃতীয় উইকেটে শান মাসুদকে নিয়ে গড়েন ২৪ বলে ৩৯ রানের জুটি।
আদিল রশিদ এই বাবরকেও ফেরান। ২৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে পাকিস্তান অধিনায়ক করেন ৩২ রান। এরপর ৬ বলে ০ করে দলকে বিপদে ফেলে যান ইফতিখার আহমেদও। ৮৫ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
আরও পড়ুন : ফের আইসিসির চেয়ারম্যান বার্কলে
শান মাসুদ সেখান থেকে আরেকটি জুটি গড়েন। শাদাব খানকে নিয়ে ২৫ বলে যোগ করেন ৩৬ রান। ১৩তম ওভারে মাসুদকে ফেরান স্যাম কুরান। ২৮ বলে গড়া তার ৩৮ রানের ইনিংসে ছিল ২ চার আর ১ ছক্কার মার।
শাদাব খান ১৩ বলে ২০ করে আউট হন । স্বীকৃত ব্যাটাররা কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারায় শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের পুঁজিটাও আর বড় হয়নি।
ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল স্যাম ক্যারান। ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। দুটি করে উইকেট শিকার আদিল রশিদ আর ক্রিস জর্ডানের।
সান নিউজ/এইচএন