স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে উরিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু
বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ৪ উইকেট হারিয়ে কিউইরা করে ১৫২ রান। দলের হয়ে ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন ড্যারেল মিচেল। এছাড়া ৪২ বলে ৪৬ রান করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
সিডনিতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুটাই ভালো ছিল। ইনিংসের তৃতীয় বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি এলবিডব্লিউ করেন ফিন অ্যালেনকে (৩ বলে ৪)। দেখেশুনে খেলতে থাকা ডেভন কনওয়ে ২০ বলে ২১ করে শাদাব খানের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ জয় করেছি, খেলায়ও জিতবো
পাওয়ার প্লেতে তারা একদমই সুবিধা করতে পারেনি। ২ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মাত্র ৩৮ রান। অষ্টম ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজ ফিরতি ক্যাচ বানান গ্লেন ফিলিপসকে (৮ বলে ৬)।
সেখান থেকে কেন উইলিয়ামসন আর ড্যারেল মিচেলের ৫০ বলে ৬৮ রানের জুটি। ৪২ বলে ৪৬ করে উইলয়ামসন বোল্ড হন শাহিন আফ্রিদির বলে। তবে ড্যারেল মিচেল একদম ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। ৩৫ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১২ বলে ১৬ করেন জেমস নিশাম।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২৪ রানে তিনি নেন ২টি উইকেট।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ঋণ পেতে যাচ্ছি
জবাবে ১৫৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ১২.৪ ওভারে ১০৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর আজম।
৩৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন বাবর। তার আগে ৪২ বলে ৫৩ রান করেন পাকিস্তানের এই অধিনায়ক।
বাবর আজম আউট হওয়ার পর মোহাম্মদ হারিসের সঙ্গে ২৬ বলে ২৭ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। এই জুটিতেই ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। ফিফটির পর ৪৩ বলে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৭ রান করে ফেরেন রিজওয়ান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিশুরা সাহসী
এরপর শান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মোহাম্মদ হারিস। জয়ের জন্য শেষ দিকে ৭ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩ রান। ১৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হন হারিস। তার আগে ২৬ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় করেন ৩০ রান।
শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। ওভারের প্রথম বলটি ওয়াইড দেন টিম সাউদি। পরের ডেলিভারিতে সিঙ্গেল নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তানকে ফাইনালে তুলে দেন শান মাসুদ।
সান নিউজ/এমআর