সান নিউজ ডেস্ক: কুর্টিস ক্যাম্ফারের ব্যাটিং তাণ্ডবে ১ ওভার হাতে রেখেই ৬ উইকেটে জিতলো আইরিশরা। হারলেই বাদ এমন এক ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো আয়ারল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ১৭৭ রানের বড় লক্ষ্যও তারা টপকে গেলো ৬ উইকেট আর এক ওভার হাতে রেখে।
আরও পড়ুন : কিছুটা সাশ্রয়ী হতে হচ্ছে
পাওয়ার প্লের মধ্যে অ্যান্ডি বালবিরনি (১৪) ও পল স্টার্লিং (৮) বিদায় নিলে বিপদে পড়েছিল আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় দফায় তারা ধাক্কা খায় মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে লোরকান টাকার (২০) ও হ্যারি টেক্টরকে (১৪) হারিয়ে।
দশম ওভারের ৩ বল শেষে ৪ উইকেটে ৬১ রান আয়ারল্যান্ডের। মনে হচ্ছিল, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তারা হারিয়েছে। কিন্তু বাকি ৯.৩ ওভার উইকেটে থেকে পুরো দৃশ্যপট পাল্টে দেন ক্যাম্ফার ও জর্জ ডকরেল। ২৭ বলে ৫০ রান তোলে এই জুটি। পঞ্চম উইকেটে দুই ব্যাটসম্যান একশতে পৌঁছান আর ২৩ বল খেলে। ততক্ষণে ক্যাম্ফার ২৪ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন।
ডকরেল-ক্যাম্ফার ডেথ ওভারের আগেই জয়ের ভিত গড়ে ফেলেন। ১৭তম ওভার শেষে স্কোর ১৫৩। ১৯তম ওভারের শেষ তিন বলে জশ ডেভিকে টানা তিন চার মেরে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যাম্ফার। ১৯ ওভার শেষে স্কোর ৪ উইকেটে ১৮০।
মাত্র ৩২ বল খেলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্যাম্ফার। বল হাতেও মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে প্রত্যাশিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। অন্য প্রান্তে ২৭ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ডকরেল। দুজনের জুটি ছিল ৫৭ বলে ১১৯ রানের।
হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কটল্যান্ডের ওপেনার মাইকেল জোনস জ্বলে ওঠেন। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন ১৯তম ওভার পর্যন্ত। ক্রিজে ৯৫ মিনিট থেকে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৮৬ রান করেন। বল খেলেন ৫৫টি।
৩৮ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করা জোনস ম্যাচ শেষ করে আসার পথে ছিলেন। কিন্তু জশ লিটলের বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে লং অনে মার্ক অ্যাডাইরের হাতে ক্যাচ দেন। সাত বল বাকি থাকতে মাঠ ছাড়েন তিনি।
আরও পড়ুন :যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে পারে রাশিয়া
তার আগেই বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়ে আসেন। দলীয় ১৭০ রানে আউট হন জোনস, আরও ৬ রান যোগ হয় পরে। ম্যাথু ক্রসের সঙ্গে জোনস ৫৯ ও রিচি বেরিংটনের সঙ্গে ৭৭ রানের শক্ত দুটি জুটি গড়েন। লিস্কের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে তার সংগ্রহ ছিল ৩৭ রান। ক্রস ২১ বলে ২৮, বেরিংটন ২৭ বলে ৩৭ রান করেন। দিনের শেষ বেলায় জোনসকে জবাব দিলেন ক্যাম্ফার।
এই ফলাফলে ‘বি’ গ্রুপ উন্মুক্ত হয়ে গেলো। দুপুরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিম্বাবুয়েকে হারালে শেষ দুটি ম্যাচ হবে অলিখিত নকআউট।
সান নিউজ/এসআই