স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি এশিয়া কাপে দারুণ ছন্দে থেকে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার ফোরের শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত।
আরও পড়ুন : ৬ লাখের বেশি শিশু পেল করোনার টিকা
আসরের প্রথম ম্যাচে খুব একটা পাত্তা পায়নি রোহিত শর্মাদের কাছে বাবর আজমের পাকিস্তান, তারাই সুপার ফোরে ভারতের দেওয়া ১৮২ রানের লক্ষ্য অনায়াসে টপকে গেছে।
অপরদিকে শ্রীলঙ্কার চিত্র একেবারে ভিন্ন। আসরের প্রথম ম্যাচে যে আফগানরা চূড়ান্ত লজ্জা দিয়েছিল, তাদের হারিয়েই সুপার ফোর পর্ব শুরু করেছে সানাকারা।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীকে মোদির অভ্যর্থনা
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা এবং ভারত। তবে দুই দলের কাছে এই ম্যাচের তাৎপর্য ভিন্ন, শ্রীলঙ্কার সামনে সুযোগ থাকছে এই ম্যাচ দিয়ে ফাইনালের পথে এক পা এগিয়ে যাওয়ার, অপরদিকে এই দ্বৈরথ ভারতের জন্য টিকে থাকার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।
ভারতের ব্যাট্যাররা সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন। ১৮১ রানের সংগ্রহ যথেষ্ট হতে পারত জয়ের জন্য, তবে বোলারদের ব্যর্থতার সঙ্গে ফিল্ডিংয়ের কিছু ভুলের মাশুল দিয়ে তাদের হারতে হয়েছে সেই ম্যাচ। এশিয়া কাপে জাসপ্রীত বুমরাহবিহীন ভারতের বোলিং লাইনআপ মোটেও সুবিধাজনক অবস্থানে নেই।
আরও পড়ুন : লিজ ট্রাসের জয়, ২ মন্ত্রীর পদত্যাগ
বাবর আজমদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়ার অতিমানবীয় বোলিং পারফরম্যান্সে জয় পায় ভারত। তবে পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ‘পুঁচকে’ হংকং যখন পূর্ণ ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তোলে, তখনই ভারতের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ম্যাচ জিততে না পারলেও হংকং চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ভারতের বোলিং বিভাগের ঘাটতি। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে যা আরও পরিস্কার হয়ে ওঠে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে বোলিংয়ে উন্নতি করতে হবে কোহলিদের।
আরও পড়ুন : মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা টানা দুই ম্যাচে বড় রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে। আফগানদের বিপক্ষে আসরের প্রথম ম্যাচে দুঃস্বপ্নের শুরুর পর দ্রুতই নিজেদের সামলে নিয়েছে তারা। ভারতের সামনেও আজ বড় এক চ্যালেঞ্জ হিসেবেই হাজির হবে, সেটা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন : পানি না দিলে ইলিশও দেবো না
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের লড়াইয়ে মাঠে নামবে ভারত এবং শ্রীলঙ্কা।
সান নিউজ/এইচএন